প্রকাশ: ৮ জানুয়ারি ২০২১, ১২:২৯
রাজধানীর কলাবাগান থানা এলাকায় একটি বাসায় ডেকে নিয়ে রাজধানীর একটি নামকরা ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ‘ও’ লেভেলের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে একটি মামলা করা হয়েছে। ফারদিন ইফতেখার দিহান নামের এক তরুণকে আসামি করে গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে মামলাটি করেছেন ওই ছাত্রীর বাবা।
আজ শুক্রবার সকালে ইনিউজ৭১ কে এ খবর জানিয়েছেন কলাবাগান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আ ফ ম আসাদুজ্জামান।আ ফ ম আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থীর বন্ধু দিহানকে একমাত্র আসামি করে তাঁর বাবা বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। আমাদেরও ধারণা, তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়া আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকেও তেমন রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। কারণ, ধর্ষণের পর তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছিল। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।’
রাজধানীর কলাবাগান থানা এলাকায় একটি বাসায় ডেকে নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকাল চারজনকে আটক করে কলাবাগান থানা পুলিশ।
আটকের বিষয়টি ইনিউজ৭১ কে নিশ্চিত করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান।
ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করার অভিযোগ প্রসঙ্গে সাজ্জাদুর রহমান গতকাল বলেছিলেন, ‘এ রকম একটি রিউমার আমাদের কাছেও আছে। তবে আমরা এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি ধর্ষণের ব্যাপারে। ময়নাতদন্তের জন্য আমরা ওই ছাত্রীর মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছি। রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে এবং আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’
সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ‘ধানমণ্ডির আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতাল থেকে আমাদের জানানো হলে আমরা গিয়ে লাশ উদ্ধার করি। সে সময় ওই ছাত্রীর সঙ্গে থাকা ওর বন্ধু দিহানকে আটক করি। পরে ওই হাসপাতালে দিহানের আরো তিন বন্ধু গেলে আমরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদেরও আটক করি।’
ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা ইনিউজ৭১কে বলেন, “আমার ভালো মেয়েকে পরীক্ষার সাজেশন দেওয়ার কথা বলে বাসায় ডেকে নিল ওর বন্ধুরা। পরে আমাকে ফোন করে বলে, ‘আন্টি আপনার মেয়ে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে গেছে।’ পরে ওর বন্ধুরা আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে নিয়ে যায়। তারপর আমাকে ফোন দিয়ে জানায়, ‘আন্টি ও মারা গেছে।’ হাসপাতালে গিয়ে দেখি ওর প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। আমার ধারণা, মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। বাকিটা তদন্ত করে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। আমি এর বিচার চাই। আমার মেয়ের এ বছর ও লেভেল পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল।’’