প্রকাশ: ২১ জুলাই ২০২০, ৩:৪৪
মরার উপর খরার ঘা ভারতীয় ক্রিকেটে। এমনিতেই করোনাভাইরাসের প্রভাবে ব্যাপক লোকসান গুনতে হচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক বোর্ডকে (বিসিসিআই)। তার মধ্যে নতুন করে ৪ হাজার ৮০০ কোটি রুপি জরিমানা দিতে হচ্ছে ক্রিকেট বোর্ডকে। আট বছর আগের করা এক মামলার প্রেক্ষিতে আইপিএলের সাবেক ফ্র্যাঞ্চাইজিকে এই অর্থ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেতে নিয়োগপ্রাপ্ত সালিশি। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকারও বেশি।
আইপিএলের প্রথম মৌসুম থেকেই ডেকান চার্জার্স ছিল। যদিও আইন অমান্য করে ২০১২ সালে এই ফ্র্যাঞ্চাইজিকে বরখাস্ত করে দেয় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। নিয়ম না মেনে এমন কাজ করায় ৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা দিতে হচ্ছে বিসিসিআইকে। সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সিকে ঠাকুরের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এই সালিশি ডেকান চার্জার্সের পূর্ববর্তী মালিক ডেকান ক্রোনিকাল হোল্ডিংস (ডিসিএইচএল) এর পক্ষে এই অর্থ দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
২০১২ সালে হায়দরাবাদ-ভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠান ভারতীয় বোর্ড কর্তৃক আইপিএল দলের ফ্র্যাঞ্চাইজির ‘অবৈধ অবসান’-কে চ্যালেঞ্জ করেছিল।১৫ সেপ্টেম্বর ২০১২, বিসিসিআই লিগের পরিচালনা পরিষদের জরুরি সভা শেষে বরখাস্ত করার কথা ঘোষণা করে।
এক্ষেত্রে দলের তৎকালীন মালিক ডিসিএইচএল বিসিসিআই-এক বরখাস্তের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে বোম্বে হাইকোর্টে আবেদন করেছিল। কিন্তু বোর্ড হায়দ্রাবাদ ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য একটি নতুন দরপত্র চালু করেছিল৷ ফলে এই ফ্র্যাঞ্জাইজির মালিকানা কিনে নেয় সান টিভি নেটওয়ার্ক। যা সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ফ্র্যাঞ্জাইজি নামে আইপিএলে আত্মপ্রকাশ করে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত ২০১২ সালে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সিকে ঠাকুরকে দু’পক্ষের মধ্যে একমাত্র সালিশ হিসাবে নিয়োগ করেছিলেন। এদিন অর্থাৎ ১৭ জুলাই বোর্ডের বিরুদ্ধে সালিশি জিতে নেয় ডিসিএইচএল।ডেকান চার্জার্স ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত আইপিএলের অংশগ্রহণ করেছিল। ২০০৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে অর্থাৎ আইপিএলের দ্বিতীয় সংস্করণে চ্যাম্পিয়ন হয় হায়দরাবাদ ভিত্তিক এই ফ্র্যাঞ্চাইজি।