ক্ষুধারত মানুষের পাশে সাকিব আল হাসান

বিশ্ব শেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান বলেন , যার যার অবস্থান থেকে সামান্য অবদান রাখলে সম্মিলিতভাবে করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয় সম্ভব। ‘দ্যা সাকিব আল হাসান ফাউন্ডেশনের’ ফেসবুক পেইজ থেকে লাইভে এসে, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে সামর্থ্যবানদের আহ্বান জানিয়েছেন টাইগার ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান।

তিনি বলেন, চিকিৎসক আর স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পিপিই এবং হতদরিদ্রদের খাবার পৌঁছে দেয়াই এখন ফাউন্ডেশনের মূল উদ্দেশ্য। প্রয়োজনে ক্রিকেটারদের জার্সি আর অটোগ্রাফযুক্ত ব্যাট নিলামে তুলে ভবিষ্যতে অর্থ সংগ্রহ করা যেতে পারে বলেও উল্লেখ করেন নাম্বার সেভেন্টি ফাইভ।

করোনার বিপক্ষে লড়তে একমাত্র অস্ত্র ঘরে অবরুদ্ধ থাকা। সামর্থ্যবানদের জন্য অনেকটাই লম্বা ছুটির মতো ঠেকতে পারে এই হোম কোয়ারেন্টিন। তবে যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরায়, তাদের জন্য এ যেন রাজ্যের অভিশাপ। পেটের খুধায় কাতর মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানোটাই তাই মূল লক্ষ্য দ্য সাকিব আল হাসান ফাউন্ডেশনের। এরপরই গুরুত্ব পাবে সম্মুখ সারীর যোদ্ধাদের পিপিই আর টেস্ট কিট।

সিনিয়র মুশফিক থেকে মোসাদ্দেক সৈকত, এমনকি অনুর্ধ্ব ১৯ দলের ক্রিকেটাররাও এগিয়ে এসেছে মানবতার এই ক্রান্তি লগ্নে। প্রয়োজনে তাদের সঙ্গে একযোগে কাজ করবেন সাকিব। বিশ্বের বড় বড় ক্রীড়া তারকাদের মতো ক্রিকেটারদের জার্সি আর অটোগ্রাফ যুক্ত ব্যাট নিলামে তুলে ভবিষ্যতে অর্থ সংগ্রহ করা যেতে পারে বলেও জানান সাবেক বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।

সাকিব বলেন, বাইরে না গেলে অনেকেই খাবার আনতে পারে না, জীবনটা অনেক কঠিন তাদের জন্যে। আবার পিপিই দরকার। আমরা যদি চিকিৎসকদের সরবরাহ করতে পারি তাহলে অন্তত এই যুদ্ধে ভাল প্রস্তুতি নিতে পারব।

তিনি আরও বলেন, অনেক দেশের খেলোয়াড়রা বিভিন্ন নিলামে তাদের জিনিসপত্র দিচ্ছে। এইভাবে আমরাও করতে পারি। ফেইসবুকের মাধ্যমে আমরা আমাদের অটোগ্রাফ যুক্ত ব্যাট জার্সি নিলামে তুলতে পারি।

সাকিব কথা বলবেন অথচ ক্রিকেট থাকবেনা আলোচনায়, তাই কি কখনও হয়! লাইভে এক ভক্তের প্রশ্ন, ব্যাট হাতে কার সামনে কঠিন পরীক্ষায় পড়েছেন সাকিব। উত্তর টা সোজা ব্যাটে নাম্বার সেভেন্টি ফাইভের।

সাকিব বলেন, মর্নে মরকেল, জফরা আর্চার, এবং মুরালীধরণকে সামলানো কঠিন মনে হয়েছে।