জুয়াড়িদের কাছ থেকে ফোন পাওয়ার কথা আইসিসি-কে না জানানোর জেরে শাস্তি হয়েছে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের। আইসিসি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দুই বছরের জন্য সাকিবকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মূলত, ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব গোপন রাখার অভিযোগে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে সাকিবকে নিষিদ্ধ করা হলো। কিন্তু ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে একেবারে ভিন্ন কথা। সেখানে বলা হচ্ছে, সাকিব জুয়াড়িদের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে দোষী হয়ে সাজা পেয়েছেন। যা একেবারেই মিথ্যাচার।
আসলে, আইসিসির দুর্নীতি নিয়ন্ত্রক সংস্থা (আকসু) সাকিবকে ২০১৯ সালের ২৩ জানুয়ারি প্রথম জিজ্ঞাসাবাদ করে সাকিবকে। এরপর আবার একই বছরের ২৭ আগস্ট জিজ্ঞাসাবাদ করে। এ সময় দীপক আগারওয়াল নামে এক জুয়াড়ির সাথে কথা হওয়ার বিষয়ে জানান তিনি। জিজ্ঞাসাবাদে সাকিব জানান, তার এক পরিচিত আগারওয়ালের কাছে নম্বর দেয়। ২০১৭ সালের নভেম্বরের দিকে এ ঘটনা ঘটে। এরপর আগারওয়ালের সাথে সাকিবের হোয়াটসআপে ম্যাসেজ চালাচালি হয় এবং আগারওয়াল সাকিবের সাথে দেখা করতে চায়। সেসব তথ্য আইসিসিকে দেননি সাকিব। যে কারণে নিয়মানুসারে সাকিব সাজা পেলেন।
তবে কলকাতা২৪ সাকিবের ব্যাপারে সংবাদ করেছে, 'ক্রিকেট জুয়োতে জড়িয়ে দু বছরের জন্য নিষিদ্ধ সাকিব' শিরোনামে। সেই সংবাদের সূচনাতেও বলা হয়, জুয়ায় জড়িত থাকায় তাকে ২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। এনডিটিভির প্রতিবেদনেও এড়িয়ে যাওয়া হয়, সাকিব আসলে জুয়াড়িদের সঙ্গে জড়িত হননি, সে বিষয়টি। এমনভাবে সংবাদ তৈরি করা হয়েছে, যাতে পাঠকের মনে হবে, সাকিব দোষী।
এদিকে সাকিব নিষিদ্ধ হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন ইংল্যান্ড ক্রিকেটের সাবেক অধিনায়ক ও তারকা ক্রিকেটার মাইকেল ভন। এক টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, সাকিব আল হাসান হলেও কোনো ধরনের সহানুভূতি নেই ... অন্য কেউ হলেও ... বর্তমান সময়ে এসে খেলোয়াড়দের সবসময় জানানো হয়, তারা কী করতে পারবে এবং কী পারবে না এবং কোন বিষয়গুলোতে সরাসরি অভিযোগ জানাতে হবে ... দুই বছর যথেষ্ট নয় ... আরো বেশিদিন হওয়া উচিত ছিল।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।