আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেদের মাটিতে শ্রীলংকার বিপক্ষে সিরিজ জিতে নিল পাকিস্তান। করাচী ক্রিকেট মাঠে ফখর জামান ও আবিদ আলীর জোড়া ফিফটিতে শ্রীলংকার বিপক্ষে হেসে খেলে ৫ উইকেটে জয় তুলে নিল পাকিস্তান। এই জয়ের ফলে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে ট্রফি নিশ্চিত করল স্বাগতিকরা। যদিও প্রথম ম্যাচটি বৃষ্টির জন্য পরিত্যক্ত হয়েছিল। বুধবারের ম্যাচে ছিলেন না ইমাম-উল হক। তার জায়গায় চান্স পেয়ে যান আবিদ আলী। চান্সটি পুরো মাত্রায় কাজে লাগিয়েছেনও তিনি। ৬৭ বলে ১০টি চারের সাহায্যে ৭৪ রান করে সিলভার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন আবিদ আলী। অন্য ওপেনার ফখর জামান ৯১ বলে ৭৬ রান করেন। এই ওপেনিং জুটির নৈপুণ্যে জয় পেতে বেগ পেতে হয়নি পাকিস্তানকে।
করাচী মাঠে শ্রীলংকার বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে ২৯৮ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ফখর জামানের সঙ্গে উড়ন্ত সূচনা করেন আবিদ আলী। উদ্বোধনীতে তারা গড়েন ১৯.৩ ওভারে ১২৩ রানের জুটি। ওপেনিং জুটিই ভাল করায় অন্যদের তেমন একটা চাপ নিতে হয়নি। আবিদ আলী আউট হলে ফখর জামানের সঙ্গী হন বাবর আজম। ব্যক্তিগত ৭৬ রানে ফকর জামান আউট হলেন প্রদীপের বলে। এ দিন বাবর আজমের ব্যাটও তেমন একটা কথা বলেনি। তিনিও ৩১ রানে প্রদীপের বলেই আউট হলেন। তবে কার্যকরী ব্যাটিং করেন হারিস সোহেল। তিনি ৫০ বলে ৫৬ রান করে আউট হন জয়সুরিয়ার বলে বোল্ড হয়ে। তার বিদায়ে জয় পেতে সমস্যা হয়নি পাকিস্তানের।
তখন পাকিস্তানের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৪ বলে ১১ রান। এই কাজটুকু ইফতেখার আহমেদ করে দিয়েছেন। তিনি ২২ বলে ২৮ রান করে নটআউট ছিলেন। শেষ পর্যন্ত ১০ বল বাকি থাকতেই পাকিস্তানের রান হয়ে যায় ২৯৯। ফলে ৫ উইকেটের জয় পায় পাকরা। করাচির আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে যায় সফরকারী শ্রীলংকা। দলীয় ১৩ রানে অভিস্কা ফার্নান্দো আউট হন। তার বিদায়ের পর অধিনায়ক লাহিরু থিরিমান্নেকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরেন অন্য ওপেনার গুনাথিলাকা।
দ্বিতীয় উইকেটে ৮৮ রানের জুটি গড়ে সাজঘরে ফেরেন লংকান অধিনায়ক। মোহাম্মদ নওয়াজের শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৫৩ বলে ৩৬ রান করেন থিরিমান্নে। এরপর অ্যাঞ্জেলো পেরেরার সঙ্গে ৫০ রানে জুটি গড়েন গুনাথিলাকা। ২৫ বলে ১৩ রানে আউট হন অ্যাঞ্জেলো পেরেরা। তবে ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে যান গুনাথিলাকা। ইনিংসের শুরু থেকে বলে বলে রান করে যাওয়া গুনাথিলাকা ১০০ বলে ১২টি চার ও এক ছক্কায় সেঞ্চুরি পেয়ে যান তিনি। শেষ পর্যন্ত ব্যক্তিগত ১৩৩ রানের মাথায় মোহাম্মদ আমিরের বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি।
গুনাথিলাকা আউট হওয়ার পর ইনিংসের শেষ দিকে প্রত্যাশিত ব্যাটিং করতে পারেননি লংকান ব্যাটসম্যানরা। মাত্র ১৩ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে শ্রীলঙ্কা, যার ফলে তিনশত রান পার করা আর হলো না। শেষ পর্যন্ত লংকানদের ২৯৭ রানে থামতে বাধ্য করে পাক বোলাররা। পাকিস্তানের হয়ে ৫০ রানে ৩টি উইকেট শিকার করেন মোহাম্মদ আমির। যার মধ্যে দুটি ছিল বোল্ড আউট।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।