নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ভূমি দখল ঠেকাতে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে সহায়তা চেয়েছিলেন প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলম আজাদ। তবে সহায়তার বদলে উল্টো তার পরিবারের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তারের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সকালে চাপরাশিরহাট বাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
জাহাঙ্গীর আলম আজাদ জানান, দীর্ঘ ৩০ বছর বিদেশে পরিশ্রম করে অর্জিত অর্থ দিয়ে চরফকিরা ইউনিয়নে ১৩ শতক জমি কেনেন এবং সেখানে সীমানা প্রাচীরসহ দুটি ঘর নির্মাণ করে ভাড়াটিয়াদের বসবাসের ব্যবস্থা করেন। গত ২৬ জানুয়ারি ভাড়া তুলতে গেলে স্থানীয় কয়েকজন সন্ত্রাসী তার ওপর হামলা চালিয়ে ভাড়ার টাকা ছিনিয়ে নেয় ও বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। এতে তার প্রায় ২৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
হামলার পর তিনি জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে ফোন করলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে তাদের উদ্ধার করে। তবে পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল কালামের মধ্যস্থতায় পুলিশ নিরাপদ আশ্রয়ের কথা বলে তার পরিবারের সাত সদস্যকে থানায় নিয়ে যায় এবং পরে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়ে দেয়। অভিযোগ রয়েছে, পুলিশ কোনও ধরনের সহযোগিতা না করে বরং সন্ত্রাসীদের পক্ষ নিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আজাদ আরও অভিযোগ করেন, তার ঘর বর্তমানে সন্ত্রাসীদের দখলে রয়েছে এবং স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল কালাম এই দখলদারদের মদদ দিচ্ছেন। তিনি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এবং তার সম্পত্তির দখল ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তার স্ত্রী ফেরদাউস বেগম, বোন লুতফুন নাহার, ছেলে সামিউল আরাফাত ও প্রতিবেশী মহিউদ্দিন মাসুম, কামরুল ও সাইফুল ইসলাম। তারা একযোগে পুলিশের ভূমিকার নিন্দা জানান এবং ন্যায়বিচারের দাবি করেন।
অন্যদিকে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আবুল কালাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, প্রবাসী আজাদ নিজেই সংঘবদ্ধ হয়ে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালান। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে তারা ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন, এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, ঘটনার দিন তিনি ছুটিতে ছিলেন, তাই বিস্তারিত জেনে তবেই মন্তব্য করতে পারবেন। তবে স্থানীয়দের একাংশ মনে করছে, এই ঘটনা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত এবং প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।