বাংলাদেশে কার্তিক মাসের অর্ধেক অতিবাহিত হলেও তাপমাত্রার দৃশ্যপট বিশেষ পরিবর্তন হয়নি। শুক্রবার (১ নভেম্বর) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে, যা বেশিরভাগ স্থানে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে অবস্থান করছে। তবে, দেশের উত্তর অঞ্চলে শীতের পূর্বলক্ষণ দেখা যাচ্ছে।
শনিবার (২ নভেম্বর) সকাল ৬টায় ঢাকার বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯০ শতাংশ, এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যদিও এই তাপমাত্রা কিছুটা স্বাভাবিক, জলীয় বাষ্পের কারণে অনুভূত হচ্ছে গরম। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, সামনের কয়েকদিন তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে এবং দেশের অধিকাংশ স্থানে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ বলেন, "আগামী কয়েকদিন আবহাওয়া প্রায় একই রকম থাকবে। তবে, ধীরে ধীরে দেশের উত্তরাঞ্চলে শীতল আবহাওয়া শুরু হবে। আমাদের ধারণা, ডিসেম্বরের ২০ তারিখের পর ঢাকায় শীত পড়তে শুরু করবে।"
গরম আবহাওয়ার এই স্থায়ী অবস্থার পিছনে একটি কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, দেশের দক্ষিণ দিক থেকে আসা বাতাস। এই দক্ষিণা বাতাস উষ্ণ এবং জলীয় বাষ্প নিয়ে আসছে, যা তাপমাত্রা বাড়াতে সহায়ক হচ্ছে।
শীত আসার অপেক্ষায় জনগণ এই গরমের মধ্যে কিছুটা অস্বস্তি অনুভব করছেন। শীতের আগমন নিয়ে আশাবাদী থাকলেও, তাপমাত্রার এই উষ্ণতা দেশের কৃষি এবং জনজীবনে প্রভাব ফেলছে। বিশেষ করে, যারা কৃষি কাজে নিয়োজিত তাদের জন্য এটি কিছুটা সমস্যা সৃষ্টি করছে।
এদিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তর নাগরিকদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার জন্য সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছে। গরমে যাতে অতিরিক্ত অসুস্থতা না হয়, সেজন্য সঠিকভাবে পানি পান এবং ঠাণ্ডা স্থানগুলোতে অবস্থান করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।