৭৪টি এমপিওভুক্ত বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন আইন-২০২৩ এবং বিভিন্ন নীতিমালার অধিকার আদায়ে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন। আজ এক সংবাদ সম্মেলনে তারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের বৈষম্যের শিকার হতে হচ্ছে এবং এখনো পর্যন্ত তাদের প্রাপ্য বেতন-বিভাগ, পেনশন ও অন্যান্য সুবিধা বাস্তবায়ন হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা উল্লেখ করেন, "২০১০ সাল থেকে এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জাতীয় বেতন স্কেল ২০০৯ এর আওতায় বেতন পেয়ে আসছেন। কিন্তু ২০১৫ সালের বেতন স্কেল কার্যকর হওয়ার পরও ২০১৮ সাল থেকে এর সুবিধা পাওয়া শুরু হয়েছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।" তারা জানান, ২০১৫-২০১৬ ও ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের বকেয়া বেতন এখনো পায়নি। মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরও তাঁদের আবেদন অগ্রাহ্য হয়েছে।
তাদের অভিযোগ, ১০ বছর চাকরির পর পদোন্নতি না হলে সিলেকশান গ্রেড পাওয়ার বিধান থাকলেও এ বিষয়ে তারা অবহেলিত রয়েছেন। "বিআইএসএড ডিগ্রি অর্জনকারী শিক্ষকদের বেতন ন্যায্য ধাপে না দেওয়া এবং নিয়োগ বন্ধ থাকায় কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে," বলেন বক্তারা।
নিবন্ধিত দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
১. জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন আইন-২০২৩ অনুযায়ী তাঁদের বিদ্যালয়গুলোর অন্তর্ভুক্তি।
২. বি এস এড পাশ করা শিক্ষকদের প্রাপ্য বেতন-ভাতা প্রদান।
৩. ২০১৫-২০১৬ ও ২০১৬-২০১৭ সালের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ।
৪. পেনশন ও গ্র্যাচুইটি প্রদানসহ শুন্য পদে নিয়োগ।
৫. প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল উন্নীত করা।
বক্তারা বলেন, "আমরা প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি, কিন্তু আমাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে।" তারা আশা প্রকাশ করেন যে, মিডিয়ার সহযোগিতায় তাঁদের দাবিগুলো যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছাবে।
সম্মেলনের শেষে বক্তারা সরকারের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, "আমরা চাই ন্যায্যতা ও সুযোগ-সুবিধা, যাতে বিশেষ শিক্ষার সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে আমাদের কাজ অব্যাহত রাখতে পারি।"
এদিনের এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শিক্ষক-কর্মচারীরা তাঁদের দীর্ঘদিনের দাবি আদায়ে ঐক্যবদ্ধ থাকার অঙ্গীকার করেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।