বান্দার আমল: জান্নাত ও জাহান্নামের কারণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী- বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ
প্রকাশিত: সোমবার ৭ই অক্টোবর ২০২৪ ১১:৩২ পূর্বাহ্ন
বান্দার আমল: জান্নাত ও জাহান্নামের কারণ

প্রিয় পাঠকগণ, আমি হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী, আজ আপনাদের সামনে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে এসেছি। বান্দার আমলই তার জান্নাত বা জাহান্নামে যাওয়ার মূল কারণ। আমাদের প্রত্যেকের উচিত এ বিষয়টি গভীরভাবে বোঝা এবং অনুসরণ করা।


আমাদের আমল আমাদের আখিরাত নির্ধারণ করে। পবিত্র কোরআনে উল্লেখ আছে, “জীবমাত্রই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে। কেবলমাত্র কেয়ামতের দিনেই তোমাদেরকে তোমাদের কর্মফল পূর্ণমাত্রায় দেওয়া হবে।” (সুরা আলে ইমরান: ১৮৫)। তাই আমাদের জন্য অত্যাবশ্যক হলো, দুনিয়ার মোহ থেকে দূরে থেকে আল্লাহর নির্দেশ পালন করা।


জান্নাতে প্রবেশের দুটি প্রধান কারণ হলো আল্লাহর ভয় এবং সুন্দর চরিত্র। রাসুল (সা.) বলেছেন, “মুখ ও লজ্জাস্থান।” এই দুই বিষয়ে সচেতন হলে একজন মুসলমান জাহান্নাম থেকে রক্ষা পেতে পারেন। 


ঈমান হল সবচেয়ে বড় সম্পদ। যে ব্যক্তি ঈমান অর্জন করতে পারে, সে জান্নাতের পথে পা বাড়াতে সক্ষম। আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, কেয়ামতের দিন অবিশ্বাসীকে তার সম্পদের বিনিময়ে মুক্তি দেওয়া হবে কি না তা জিজ্ঞেস করা হবে। এখানে আমাদের জানা উচিত যে, আল্লাহকে একমাত্র উপাস্য হিসেবে গ্রহণ করাই মূল ভিত্তি।


দান-সদকা এবং সদ্ব্যবহারও জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করে। নবী (সা.) বলেছেন, “তোমরা জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচো।” এই উপলব্ধি আমাদের আরও বেশি দান করার প্রেরণা দেয়।


রোজা রাখা এবং পরিবারের সুশিক্ষা দানও জান্নাতের দিকে নিয়ে যায়। আলী (রা.) বলেছেন, “তোমরা নিজেদের এবং পরিবারের সদস্যদের জাহান্নাম থেকে বাঁচাও।” এতে পরিবারের সদস্যরা আল্লাহর আনুগত্য করবে।


আরাফার দিনে আল্লাহ বান্দাদেরকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন। একইভাবে, সুশিক্ষা ও সদাচার আমাদেরকে জান্নাতের পথে পরিচালিত করে।


অতএব, আমাদের সকলের উচিত উল্লেখিত আমলগুলোকে গুরুত্বের সাথে পালন করা। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সঠিক পথে চলার তাওফিক দান করুন। আমিন।


হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী, সাবেক ইমাম ও খতিব কদমতলী মাজার জামে মসজিদ, সিলেট।