আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অষ্টম আসরের সুপার টুয়েলভে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা পেয়েছিল বাংলাদেশের ওপেনাররা। তবে মিডল অর্ডারে একমাত্র আফিফ হোসেনের প্রতিরোধ ছাড়া কেউ দাঁড়াতেই পারেনি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান করে বাংলাদেশ। ফলে নেদারল্যান্ডসকে ১৪৫ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে সাকিবের বাংলাদেশ।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) হোবার্টের বেলেরিভ ওভালে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা বেশ ভালোই করেছিলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও নাজমুল হোসেন শান্ত। যার সুবাদে পাওয়ার প্লের পাঁচ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪৩, যা চলতি বছর ওপেনিংয়ে বাংলাদেশের সর্বোচ্চও বটে। তবে ষষ্ঠ ওভারে বিদায় নেন সৌম্য। ফন মিকেরেনকে পুল করতে গিয়ে শর্ট মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। তার আগে দুই বাউন্ডারিতে ১৪ রান করেন সৌম্য।
বাংলাদেশ যখন ৪৭ রানে ১ উইকেট খুইয়ে পাওয়ারপ্লে শেষ করে, তার পরের ওভারে বিদায় নেন শান্তও। টিম প্রিঙ্গলকে মিড উইকেট দিয়ে সীমানাছাড়া করতে গিয়ে ব্যর্থ হন তিনি, ক্যাচ দেন সেই শর্ট মিড উইকেটেই। শান্ত ২০ বলের ইনিংসে করেন ২৫ রান। এরপর টানা তিন ওভারে লিটন দাস (৯), সাকিব আল হাসান (৭) ও ইয়াসির আলীর (৩) উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ।
সেখান থেকে মিডল অর্ডার ব্যাটার আফিফ হোসেন ও উইকেটকিপার নুরুল হাসান সোহান দলের হাল ধরে বাংলাদেশের ইনিংসকে এগিয়ে নেন। তাদের ৪৪ রানের জুটি ভাঙে সোহানের ১৩ রানে বিদায়ে। একমাত্র আফিফ আক্রমনাত্বকভাবে ব্যাট চালিয়ে ইনিংস মেরামতের কাজটা ভালোভাবে চালিয়ে নেন। তবে দলীয় ১২৯ রানে আফিফও উইকেটের পিছনে ক্যাচ সাজঘরে দিয়ে ফিরে যান। তিনি ২৭ বলে সমান দুই চার ও ছক্কায় সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন। শেষদিকে মোসাদ্দেক হোসেনের ১২ বলে অপরাজিত ২০ রানে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান করে বাংলাদেশ।
বোলিংয়ে নেদারল্যান্ডসের হয়ে পল ভ্যান মিকোরেন ও বাস ডি লিড ২টি করে উইকেট পান। এছাড়া টিম প্রিঙ্গেল, লোগান ভ্যান বিক, সারিজ আহমেদ ও ফ্রেড ক্লাসেন প্রত্যেকে ১টি করে উইকেট পান।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।