এশিয়া কাপ সুপার ফোরের তিন ম্যাচ শেষ। শ্রীলঙ্কা আফগানিস্তান ও ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে এক পা দিয়ে রেখেছে। আগামী রোববারের শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে তাদের দুই পা পড়তে পারে বুধবার রাতেই- আফগানিস্তান ও পাকিস্তান ম্যাচ শেষে।
আফগানিস্তানকে হারালেই শ্রীলঙ্কাকে সঙ্গে নিয়ে ফাইনালে উঠে যাবে পাকিস্তান। এক ম্যাচ হাতে রেখে দুই দলেরই হবে সমান ৪টি করে পয়েন্ট। টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যাবে ভারত ও আফগানরা। সুপার ফোরে শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে রোহিত শর্মা ও মোহাম্মদ নবীরা। আর পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার ম্যাচটি হবে ‘ফাইনালের মহড়া’।
তবে পাকিস্তানের জয় সহজ হবে না। যদিও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দুইবারের (২০১৩ ও ২০১৯) দেখায় দুটি ম্যাচেই আফগানদের হারিয়েছে তারা। সংযুক্ত আরব আমিরাতের কন্ডিশন দুই দলের কাছেই বেশ পরিচিত। প্রথমবার তারা এশিয়া কাপে মুখোমুখি হচ্ছে। তাই শারজায় ম্যাচটি হতে যাচ্ছে যে কারও।
র্যাংকিংয়ের উপরের দিকে থাকা বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে অসাধারণ জয় পায় আফগানিস্তান। কিন্তু সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে দাসুন শানাকার দলের কাছে উত্তাপ ছড়িয়ে হারে তারা। তারপরও ইতিবাচক দিক খুঁজে পেয়েছে নবীর দল। এটা ছিল হাড্ডাহাড্ডি লড়াই এবং দেখিয়ে দিয়েছে তারা আর উইকেট নিতে শুধু স্পিনত্রয়ী রশিদ খান, মুজিব উর রহমান ও নবীর ওপর নির্ভরশীল নয়। তাদের ফাস্ট বোলার ফজলহক ফারুকি ও নাভিন উল হক ম্যাচ জয়ী ভূমিকা রাখতে পারেন।
ব্যাটিং বিভাগে নাজিবউল্লাহ জাদরান, রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান চ্যালেঞ্জ নেওয়ার সামর্থ্য রাখেন। ফাইনালের আশা টিকিয়ে রাখতে আফগানিস্তানকে এই ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে আবারও সেরাটা পেতে হবে।
অন্যদিকে পাকিস্তান ইনজুরির কারণে তাদের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের হারিয়ে ধাক্কা খেয়েছিল, তাছাড়া ফর্মে নেই অধিনায়ক বাবর আজমও। তারপরও পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫ উইকেটের দারুণ জয়ে অনুপ্রাণিত দলটি। মনোবলও বেড়ে গেছে।
বাবরের ঘাটতি পুষিয়ে দিচ্ছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান, তিন ইনিংসে করেছেন ১৯২ রান। ফখর জামান ও খুশদীল শাহও আশা জাগানিয়া পারফর্ম করছেন। ভারতের বিপক্ষে আগের ম্যাচে অলরাউন্ড নৈপুণ্য দেখান মোহাম্মদ নওয়াজ, ২০ বলে ৪২ রান করেন চার নম্বরে উঠে।
অবশ্য পাকিস্তানের বড় শক্তি এখনও বোলিং, স্পিনার শাদাব খান ও নওয়াজ তিন ম্যাচে ১৩ উইকেট ভাগাভাগি করেছেন। তরুণ পেসার নাসিম শাহও বল হাতে জাদু দেখাচ্ছেন।
না বললেও চলে, পাকিস্তান ফেভারিট হিসেবে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামছে। কিন্তু আফগানিস্তান নিজেদের দিনে যে কাউকে চমকে দিতে পারে। আর যেহেতু দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে, পাকিস্তানের সর্বনাশ যে করবে না সেটা নিশ্চিতভাবে বলা যায় না।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।