কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স নাকি ফরচুন বরিশাল। কে হবে এবারের আসরের চ্যাম্পিয়ন? ফাইনাল রাঙাতে প্রস্তুত দু’দল। পারফর্মার সাকিব আল হাসানের সঙ্গে তার ক্ষুরধার মস্তিস্কের সঙ্গেও লড়তে হবে কুমিল্লাকে। বিপরীতে প্রথম ট্রফি জিততে বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটিংয়েও নজর বরিশালের। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অষ্টম আসরের ফাইনাল শুরু হবে কাল বিকেল সাড়ে ৫টায়।
এই ট্রফিটাই ঘরে তুলতে চায় দু’দল। কিন্তু সাকিব আল হাসান নেই কেনো জানা গেলো আসল ঘটনা। পেটের পীড়ার কারণে মাঠে আসেননি বরিশালের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের সঙ্গী বরিশালের সহ-অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে সাকিবের না আসা। সহ-অধিনায়ক সোহান বলেন, আমি যখন সকালে দেখেছিলাম তখন তিনি (সাকিব) জিমে ছিলেন। তারপরের খবর আমি আর খুব একটা বিষয় জানি না। অন্যদিকে ইমরুল বলেন, সাকিব আসলে জিনিসটা আরেকটু ভালো হতো। কারণ সে একটা টিমের অধিনায়ক।
তবে কি নেপথ্যে জয়ের আগে সাকিবের ট্রফি না ছুঁয়ে দেখার প্রতিজ্ঞা? ফাইনালের এক্স ফ্যাক্টর সাকিব। দু’দলকেই ভাবতে হচ্ছে তাকে নিয়ে। হুটহাট কখন কি করে বসেন এ নিয়ে ভয় কুমিল্লা কোচ সালাউদ্দিনের। ভরসাও খালেদ মাহমুদের। কুমিল্লা কোচ সালাউদ্দিন বলেন, সাকিবের মাথার সঙ্গেও আমাদের খেলতে হবে। কারণ সে অনেক সময় যে ট্রিকসগুলো করে সেগুলো আসলে ব্যাটাররা বুঝতে পারে না। সেটা যদি আমরা ওভারকাম করতে পারি তাহলে আমাদের জয়ের সম্ভাবনা থাকবে।
আসরে তিন দেখায় এগিয়ে বরিশাল ২-১ এ। তাদের মূল শক্তি বোলিং। সাকিব-মুজিবের ঘূর্ণি জাদু পেস অ্যাটাকে অভিজ্ঞ ডুয়াইন ব্র্যাভোর সঙ্গী মেহেদি হাসান রানা ও শফিকুলও ফর্মে। কিন্তু ব্যাট হাতে মুনিম শাহরিয়ার যে কোন দলকে লণ্ডভণ্ড করে দিতে পারেন, কিংবা যে কোনদিন টুর্নামেন্টে নিজেকে গুটিয়ে রাখা ক্রিস গেইল কেড়ে নিতে পারেন ফাইনালের সব আলো। আর কুমিল্লার শক্তি মানেই ব্যাটিং। তিন বিদেশি সুনিল নারিন, ফাফ ডু প্লেসি ও মইন আলি নিজেদের দিনে ভয়ঙ্কর। মোস্তাফিজের মতন পেসার যেমন আছেন তেমনি নাহিদুল, তানভিরদের মতো কার্যকরী স্পিনারও।
প্রতিপক্ষে শক্তি আর দূর্বলতা নিয়ে চলছে গবেষণা। তবে তা মাঠে কার্যকর করতে পারবে কোন দল। এমন প্রশ্নে সোহান বলেন, মাঠে ছয়টি দল খেলেছে। ছয়টি দলেরই কিছু কিছু টিম প্ল্যান থাকে। অবশ্যই আমাদের যে শক্তিশালী দিকগুলো আছে এবং তাদের শক্তিশালী দিকগুলো বিবেচনা করেই আমরা মাঠে নামবো। কুমিল্লা অধিনায়ক ইমরুল বলেন, যে যত সাহস নিয়ে খেলতে পারবে, যে যত কাম থাকতে পারবে মাঠের ভেতর তাদের দিকেই ম্যাচের ফলাফল যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
সাকিব-সালাউদ্দিন গুরুশিষ্য আর সাকিব-ইমরুল দুই বন্ধু কে হবেন বন্ধু নামের শত্রু?
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।