মনে হচ্ছে জেলখানায় আছি; মিরাজ

করোনাকালে প্রথম বিদেশ সফরেই কঠিন অভিজ্ঞতার মুখে পড়েছে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। নিউজিল্যান্ডে ক্রাইস্টচার্চে পৌঁছানোর পর থেকে কোয়ারেন্টাইনে আছেন সবাই।

কঠোরভাবে সবাই মানছেন কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম। একাকী রুমে সময় কাটানো সহজ নয়। ইতোমধ্যে পাঁচদিন কেটে গেছে। আর কয়েকটি দিন ভালোভাবে কাটিয়ে জিম ও অনুশীলনে নামার অপেক্ষায় এখন বাংলাদেশ দল।

রুম কোয়ারেন্টাইনের সময়টাতে জেল খানার বন্দীশালায় থাকার অনুভূতি হয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের। সোমবার বিসিবির পাঠানো ভিডিও বার্তায় নিজের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে এ তরুণ ক্রিকেটার বলেছেন, ‘তিনদিন ধরে ঘরের ভেতর বন্দি ছিলাম, আমার নিজের কাছে মনে হয়েছে যে জেলখানায় আছি বা হতাশা আছে। এরকম একটু অনুভব হচ্ছিল।’   

সময় কাটাতে ক্রিকেটাররা পরিবারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেছেন, এমনকি রুমে বসে নিজেরা ভিডিও কলে কথা বলেছেন। মিরাজ বলেন, ‘প্রথম দিকে সময় কাটছিল না। প্রথম তিনদিন তো কারও সাথে দেখা সাক্ষাৎ হয়নি।

ফোনে-ফোনে কথা হয়েছে সবার সাথে, ভিডিও কলে কথা হয়েছে (হাসি) রুম টু রুম। এখন যেহেতু পাঁচদিন কেটে গেছে, আশা করি আরও তিনদিন কেটে যাবে।’

তিনদিন পর হোটেলে আঙ্গিনায় আধঘণ্টা করে মুক্ত বাতাসে হাঁটার অনুমতি পেয়েছিল বাংলাদেশ। প্রথমবার বের হয়ে মাথা ঘুরছিল মিরাজের। তিনি বলেন, ‘আমি সোমবার প্রথম যখন বেরিয়েছিলাম শুরুর দিকে মাথা একটু ঘুরতেছিল।’

এখন জিম করা, অনুশীলনে নামার অপেক্ষায় আছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। স্পিনিং অলরাউন্ডার মিরাজ বলেছেন, ‘ছয়-সাতদিন পর যখন আমরা জিম এবং মাঠে যেতে পারব, তখন আমাদের ভালো লাগবে।’

এদিকে কোয়ারেন্টাইনে থাকলেও দলের সবাই সুস্থ আছে। সফরে গোটা দলের করোনা পরীক্ষা হবে চারবার। ইতোমধ্যে দুই বার করোনার নমুনা দিয়েছেন সবাই। প্রথমবার নমুনা নেয়া হয়েছে ক্রাইস্টচার্চে নেমে হোটেলে আসার পরপরই। যেখানে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে সবার।

তৃতীয়দিন আরেকবার নেয়া হয়েছে নমুনা। কোয়ারেন্টাইনের ষষ্ঠ বা সপ্তম দিন হবে আরেকবার করোনা পরীক্ষা। চতুর্থবার নমুনা নেয়া হবে সফরের ১২তম দিনে। এমন করেই শেষ হবে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন।

অবশ্য তিনবার টেস্টে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট আসলে জিমে কাজ শুরু করতে পারবেন ক্রিকেটাররা। অষ্টম দিন থেকে গ্রুপ করে মাঠে অনুশীলন করতে নেমে পড়বেন তামিম-মুশফিকরা।