করোনার উপসর্গ শ্বাস কষ্ট ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে নাজমা আক্তার (৪৫) নামক এক গৃহবধুর মৃত্যুর পর লাশের পাশে এবং দাফনে পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা কেউ এগিয়ে না আসায় অবশেষে স্থানীয় ডাক্তার, পুলিশ ও আল-হিক্মা সংগঠনের কয়েকজন সদস্য লাশটির দাফন সম্পন্ন করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে ওই গৃহবধুর স্বামীর বাড়ি মোহনগঞ্জ উপজেলার বড়কাশিয়া বিরামপুর ইউনিয়নে বাহাম গ্রামে।
এর আগে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তার স্বামীর বাড়িতেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার স্বামীর নাম মোঃ শহর আলী।
এ ব্যাপারে মোহনগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ খানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এসব তথ্য নিশ্চিত করেন বলেন, শুক্রবার সকালে করোনা উপসর্গ প্রচন্ড শ্বাস কষ্ট ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গৃহবধু নাজমা আক্তার মারা যাবার পর তার স্বামীসহ বাড়ির সবাই ঘরে লাশ ফেলে রেখে বাইরে চলে যায়। পরে উপজেলা প্রশাসনে এসে নাজমা আক্তারের লাশ দাফনে তারা অস্বীকৃতিও জানায়।
তারপর মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডাঃ সুবীর সরকারের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৪ জন, থানা পুলিশের ৪ পুলিশ সদস্য ও স্থানীয় ইসলামী সংগঠন আল-হিক্মা’র ৪ সদস্য মিলে সরকারী স্বাস্থ্য বিধি মেনে ওই লাশ দাফন করা হয়।
মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডাঃ সুবীর সরকারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি লাশ দাফনের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গৃহবধু নাজমা আক্তারের শরীরে করোনার উপসর্গ বিশেষ করে শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়ার লক্ষণ দেখা দেয়ায় তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ প্রেরণ করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।