প্রকাশ: ১২ জুন ২০২০, ২২:১৯
ভাই কি করতেছেন এই যে অল্প ধান নিয়ে এসেছি মিলে চাউল করে নিয়ে যাব ( কুটবো) তাই ও আচ্ছা। আপনার কি অবস্থা এখন এই যে আছি আর কি আলাহামদুল্লিহ, তো আপনার তো কোচিং সেন্টার বন্ধ তাই না হে বন্ধ।
তো এখন কি করেন আই রোজগার, কিছুতো করতে পারিনা আমি শুধু কোচিংটাই আমার একমাত্র ভরসা । আর সেটিও প্রশাসনের আদেশেই বন্ধ রেখেছি করোনার জন্য৷ তাই নিজে বেকার হয়ে বসে আছি কয়েক মাস যাবত।
পরে আজিজ কয়েক টি র্ভাসিটিতেও ভর্তি পরীক্ষা দিলে তিনি পড়ে অর্নাসে ভর্তি হয় রংপুর কারমাইকেল কলেজে গণিত বিষয়ে ।সেখানে তিনি দুই বছর পড়ালেখা করার পড় আর ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস সেই গন্ডি পার হতে পারেনি আজিজ কারণ তার যে চোখটি ভালো ছিলো সেটিও যেন তাকে আর এই পৃথিবীর আলো দেখাতে অনিহা প্রকাশ শুরু করে।আর তাই আজিজ কে চলে আসতে হয় বাড়ি ফিরে আর সামর্থ অনুযায়ী চিকিৎসা করা হয় আজিজের চোখের কিন্তু চোখের আলো পুরোপুরি অন্ধকার কাটে আলো দেখাতে পারেনি টাকার অভাবে। আজিজের মা অন্য জনের বাসায় কাজ করে যা আনতো তাই দিয়ে চলতো মা ছেলের সংসার পরে তিনি ভাবলেন এভাবে আর কত দিন বসে বসে খাওয়া যাই তখন তিনি তার নিজ বাড়িতে গড়ে তুলেন একটি কোচিং সেন্টার সেটাই হয়ে ওঠে তার একমাত্র আয় রোজগারের ভরসা আর সেই রোজগারে পেশা টি ও করোনার হানায় বন্ধ হয়ে গেছে কয়েক মাস যাবত। তাই এখন আজিজ কে সংসার চালাতে হিমশিম ক্ষেতে হচ্ছে।প্রতিবন্ধী আজিজ আপশোষ করে বলে সবাই নাকি সরকারি ত্রাণ পাচ্ছে আর আমি কয়েক বার মেম্বার সহ আরো কয়েক জন কে আই ডি কার্ডের ফটোকপি দিলাম কিন্তু কেউ কিছু দিলো না।আজিজের ব্যাপারে স্থানীয় মেম্বারের সাথে কথা হলে মেম্বার আনন্দ দেব গোল্লা বাবু জানায় আমি এই ব্যাপারে বলতে পারবো না তালিকা না দেখা প্রযন্ত পারবো বলতে না।আজিজ দুঃখ করে বলেন জানিনা আবার কখন ফিরে পাবো সেই একটি করোনা মুক্ত দেশ আর আমার কোচিং এর ছাত্র ছাত্রীদের। এভাবেই আজিজ তার জিবিনের কথা গুলো বলছিল আমাদের প্রতিবেদকের সাথে। তিনি আরো জানান প্রায় কয়েক বছর আগেও আমার কাছে কয়েক টা টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক এসে আমার ছবি তুলে নিয়ে যাই কিন্তু কিছু একটা পাবো বলে আজো বসে থাকায় হয়েছে কিন্তু কিছুই পাইনি এখনো আমি। আজিজ বিয়ে করেছে গেল প্রায় দুই বছর আগে এখন তার ঘরে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়েছে। তবে আজিজের চোখ ভালো ভাবে চিকিৎসা করালে চোখের আলো আবার স্বাভাবিক ভাবে ফিরে পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আশপাশের অনেক ছাত্র ছাত্রীর বলে আমাদের আজিজ স্যার আমাদের খুব ভালো ভাবে পড়ালেখা করাই খুব ভালো বুঝায়।মাসের শেষে টাকার জন্য ও তেমন কোন চাপ দেয় না আমাদের।২০২০ সালের এস এস সি পরিক্ষায় ২৮ জন ছাত্র ছাত্রী পরিক্ষায় অংশ গ্রহণ করে ২৮ জনেই ভালো ফলাফল করতে সক্ষম হয়।