ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রী করোনায় আক্রান্ত হয়ে গ্রামের বাড়িতে এসে পালিয়ে গেলে কালিগঞ্জের দুটি বাড়ি এবং শ্যামনগরের একটি সহ তিনটি বাড়ি লক ডাউন ঘোষনা করেছে কালিগঞ্জ এবং শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসন।
বুধবার বেলা ১১টার সময় কালিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা উপজেলা করোনা রেসপন্স টিমের সম্পাদক ডাঃ শেখ তৈয়বুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কালিগঞ্জ উপজেলার কুশুলিয়া ইউনিয়নের বাজার গ্রামের এবং থানা মসজিদের সাবেক ঈমাম মুনসুর হাল্লাজের পুত্র হামিদুল ইসলাম (২৭), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করত। সেখানে করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে নমুনা স্যাম্পল দিয়ে গত ৪ জুন ঢাকা থেকে পালিয়ে বাড়ি আসে। বাড়িতে এসে গত মঙ্গলবার শ্যামনগর উপজেলার মিন্দিনগর গ্রামের খোদা বক্স এর পুত্র তার দুলাভাই অহিদুজ্জামানের বাড়িতে আত্নগোন করে।
বুধবার তার রিপোর্ট করোনা পজেটিভ আসলে শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসন করোনা রেসপন্স টিম হামিদুলের দুলাভাই অহিদুজ্জামানের বাড়িটি লকডাউন ঘোষনা করেন। অপর জন উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নে শীতলপুর গ্রামের সাইফুল ইসলামের কন্যা ঢাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সুমাইয়া পারভীন (২৬), সেও করোনা উপসর্গ নিয়ে স্যাম্পল দিয়ে গত ৭ জুন গ্রামের বাড়িতে আসে।
বুধবার করোনা পজেটিভ ধরা পড়ায় কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক রাসেলের নির্দেশে তার বাড়ি সহ বাজার গ্রামের শহিদুল ইসলামের বাড়ি লক ডাউন ঘোষনা করেন।
এব্যাপারে কালিগঞ্জ স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডাঃ শেখ তৈয়বুর রহমান জানান করোনায় আক্রান্ত দুই জনের বাড়ি সহ শ্যামনগরে অবস্থানকারী শহিদুলের ভগ্নিপতীর বাড়ি লক ডাউন ঘোষনা করে তাদের চিকিৎসা সহ সব ব্যবস্থা করা হবে।
কালিগঞ্জে ঢাকা ফেরত ব্যক্তিদের একের পর এক করোনা আক্রান্ত হওয়ায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। এজন্য করোনার বিধি মেনে চলার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবাইকে নির্দেশ অনুসরণ করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।