শেরপুরে ২ নারী করোনায় আক্রান্ত, হাসপাতালসহ ৬০ বাড়ি লকডাউন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সোমবার ৬ই এপ্রিল ২০২০ ১২:০৪ অপরাহ্ন
শেরপুরে ২ নারী করোনায় আক্রান্ত, হাসপাতালসহ ৬০ বাড়ি লকডাউন

শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক পরিচ্ছন্ন কর্মী (আয়া) এবং সদর উপজেলার এক গৃহবধূ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। রোববার রাতে এ তথ্য জানান শেরপুরের সিভিল সার্জন ডা. আবুল কাশেম মো. আনোয়ারুর রউফ। তিনি জানান, ওই দুই নারী কয়েকদিন ধরে জ্বর-সর্দি-গলাব্যথায় ভুগছিলেন। তাদের নমুনা সংগ্রহ করে ময়মনসিংহে পাঠানো হলে রোববার রাতে রিপোর্টে করোনা পজেটিভ আসে। 

এ ঘটনায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও শ্রীবরদী পৌর শহরের সাতানী শ্রীবরদী এলাকার ২০টি বাড়ি এবং নিবিড় নামের একটি ডায়াগনেস্টিক সেন্টার লকডাউন করা হয়েছে। এছাড়া নালিতাবাড়ীর নন্নী ইউনিয়নে আক্রান্ত নারীর মেয়ের শ্বশুরবাড়িও লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন।

এদিকে শেরপুর সদর উপজেলায় গৃহবধূ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় ভাতশালা ইউনিয়নের মধ্যবয়ড়া গ্রাম ও লছমনপুর ইউনিয়নের ৪০টি বাড়ি লক ডাউন করা হয়েছে। রোববার রাতে শেরপুর সদর, শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ী উপজেলা প্রশাসন এ ঘোষণা দেয়।

শ্রীবরদীর ইউএনও নিলুফা আক্তার বলেন, ওই পরিচ্ছন্নতাকর্মী করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কাজ করেছেন। ফলে সেখানকার চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারীসহ অনেকের সংস্পর্শে এসেছেন তিনি। তাই আমরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং তার বাড়িসহ আশাপাশের ২০টি বাড়ি লকডাউন করেছি।

এদিকে নালিতাবাড়ীর ইউএনও মো. আরিফুর রহমান বলেন, শ্রীবরদীর আক্রান্ত নারীর মেয়ের শ্বশুরবাড়ি নন্নী ইউনিয়নে। তার মেয়ের জামাই প্রায়ই তাদের বাড়িতে যেত। তিনি এর মধ্যে ওই বাড়ি থেকে এসে বাজারে রড-সিমেন্টর দোকানে বসেছেন। রোববার মাঠে এলাকার ছেলেদের নিয়ে ক্রিকেট খেলেছেন। যারা ক্রিকেট খেলেছে তাদের মধ্যে কয়েকজন স্থানীয় মসজিদে নামাজ পড়েছে। তাই আমরা নন্নী ইউনিয়ন লকডাউন করেছি।

শেরপুর সদরের ইউএনও ফিরোজ আল মামুন বলেন, সদর উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত গৃহবধূর বাবার বাড়ি লছমনপুর। তিনি অসুস্থ হওয়ার পর সেখানে ছিলেন। তার বাড়ির আশপাশের অনেকে তার সংস্পর্শে এসে থাকতে পারেন। আবার তিনি এ অবস্থায় বাবার বাড়ি থেকে ভাতশালা ইউনিয়নের মধ্যবয়ড়া গ্রামের ছনকান্দায় স্বামীর বাড়িতে চলে যান। সেখানে তাকে নিকটাত্মীয়সহ অনেকেই তাকে দেখতে আসেন। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা মধ্যবয়ড়া গ্রাম এবং লছমনপুর ইউনিয়নের ৪০টি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করেছি।