
প্রকাশ: ১৬ নভেম্বর ২০১৯, ১৮:৪৫

অধ্যাপক ড. গ্যারি মিলার ছিলেন কানাডার একজন সাবেক খ্রিষ্টধর্ম প্রচারক। তিনি চেষ্টা করেছিলেন পবিত্র কুরআনের ভুল খুজে বের করার। কিন্তু ভুল খুঁজতে গিয়ে নিজেই গ্রহন করলেন ইসলাম ধর্ম। ইসলাম ও কুরআন বিরোধী প্রচারনা চালানো যেন সহজ হয় সেজন্যই কুরআনের ভুল বের করার চেষ্টা করেন গ্যারি মিলার। ভুল বের করার জন্য শুরু করেন কুরআন পড়া কিন্তু কুরআন পড়ার পর তার ভিতরে আসে এক অদ্ভুত পরিবর্তন। যার ফলে খ্রিষ্টধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে একজন মুসলমানে পরিণত হন। ইসলাম ধর্ম গ্রহন করার পর "গ্যারি মিলার" নাম পরিবর্তন করে তার নাম দেয়া হয়েছে "আবদুল আহাদ উমার"।
অধ্যাপক ড. গ্যারি মিলার (উমার) বলেন, আমি একদিন কুরআন সংগ্রহ করে তা পড়া শুরু করলাম।প্রথমে ভেবেছিলাম কুরআন নাযিল হয়েছিল আরবের মরুচারীদের মধ্যে। তাই এতে নিশ্চয় মরুভুমি সম্পর্কে কথা থাকবে। কারন কুরআন নাযিল হয়েছিল ১৪০০ বছর আগে। তাই খুব সহজেই এতে অনেক ভুল খুঁজে পাবো ও সেসব ভুল মুসলিমদের সামনে তুলে ধরবো। কিন্তু কুরআন পড়ার পরে বুঝলাম আমাদ এসব ধারণা ঠিক নয়, বরং আমি অনেক আকর্ষণীয় তথ্য পেলাম। বিশেষ করে সুরা নিসার ৮২ নম্বর আয়াতটি আমাকে গভীর ভাবনায় নিমজ্জিত করে। সেখানে আল্লাহ বলেন, এরা কী লক্ষ করে না কুরআনের প্রতি? এটা যদি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো পক্ষে থেকে নযিল হতো, তবে এতে অবশ্যই বহু বৈপরিত্য দেখা যেত'।
এরপর আরো গভীরভাবে কুরআন পড়লেন গ্যারি মিলার (উমার)। আর তার এই মনোযোগ দিয়ে পড়াই তাকে নিয়ে গেল ইসলামের পথে। ইসলামের দোষ খুঁজতে গিয়ে তিনি হয়ে গেলেন একজন মুসলিম, তথা মহাসত্যের কাছে সমর্পিত একজন। তিনি আরোও বলেছেন, আমি খুব বিস্মিত হয়েছি যে কুরআনে ঈসার (আ.) মাতা মারিয়ামের নামে একটি বড় পরিপূর্ণ সুরা রয়েছে। আর এ সুরায় তার এতো ব্যাপক প্রশাংসা ও সম্মান করা হয়েছে যে, এতো প্রশাংসা খ্রিষ্টধর্মের বাইবেলেও দেখা যায় না।পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন স্থানে বিশ্বনবী মুহাম্মাদ (সা.) - এ নাম মাত্র ৫ বার এসেছে।

ইনিউজ ৭১/এম.আর