
প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০১৯, ১:৩৪

বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব তিনবার গোপন করেছিলেন বলে জানিয়েছে আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিট (আকসু)। মঙ্গলবার সংস্থাটি এ তথ্য জানায়।
ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব গোপন রাখায় দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয় বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে। ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়ে সেটাকে প্রত্যাখ্যান করলেও আইসিসি কিংবা বিসিবিকে না জানানোর কারণেই এই শাস্তি আরোপ করা হলো ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাটির পক্ষ থেকে।
তবে, দোষ স্বীকার করার কারণে, ১ বছরের শাস্তি স্থগিত করেছে আইসিসি। আইসিসির পক্ষ থেকেই এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ আনা হয় এবং তিনটি অপরাধেই আইসিসির ২.৪.৪ ভঙ্গ করেছেন সাকিব। তার বিরুদ্ধে প্রমাণিত অভিযোগগুলো হলো:
১. ২০১৮ সালের আইপিএল কিংবা একই বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার ত্রিদেশীয় সিরিজে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পাওয়ার পরও তা আইসিসিকে না জানানো।
২. ওই ত্রিদেশীয় সিরিজে জুয়াড়ির কাছ থেকে দ্বিতীয় একটি অনৈতিক প্রস্তাব পাওয়ার পরও চুপ থাকা এবং সেটা আইসিসির সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে না জানানো।

৩. ২০১৮ সালের আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে কিংস এলেভেন পাঞ্চাবের মধ্যকার ম্যাচে ফিক্সারদের কাছ থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পরও চুপ থাকা।
এসব অভিযোগের পর আকসুর কাছেও স্বীকার করেছেন সাকিব। তাই মঙ্গলবার তার বিরুদ্ধে শাস্তি ঘোষণা করা হয়। সেখানে বলা হয়, সাকিবকে ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত সকল ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব