
প্রকাশ: ৮ অক্টোবর ২০১৯, ১৯:২৩

বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে (Hall) ৮০০ থেকে ১০০০ জন ছাত্র থাকে। এর মধ্যে ৫০-১০০ জন যখন যে দল সরকারে থাকে সেই দলের ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয় থাকে। এদের বলা হয় পলিটিকাল স্টুডেন্ট। বাকীরা নন-পলিটিকাল। পলিটিকালদের দৃশ্যমান সুবিধাসমূহ হলো: তারা চারজনের রুমে একজন বা দুইজন থাকে। সাধারণ ছাত্ররা ৪ জনের রুমে ৮-২০ জন থাকতে বাধ্য হয়। ব্যতিক্রম ব্যতিরেকে তারা সবাই ক্যান্টিনে "ফাও" খায়। বড় পদে থাকলে চাঁদাবাজি, দখলবাজি থেকে প্রচুর অর্থ আয় করে। হলের রুম বহিরাগতদের ভাড়া দিয়েও কিছু আয় করে।
একটি হলের প্রতি ফ্লোরে একজন করে হাউজ টিউটর থাকেন। তার কাজ ছাত্রদের দেখভাল করা। মেধাক্রম, ফলাফল, শিক্ষাবর্ষ দেখে সিট বরাদ্ধ দেয়া। তারা হাউজ টিউটরের বরাদ্ধ কৃত কোয়ার্টার ব্যবহার করেন। হাউজ টিউটরের ভাতা গ্রহণ করেন। কিন্তু একটি দিনের জন্যও হাউজ টিউটরের কাজ করেন না। আবার বলছি, একটি দিনের জন্যও কাজ করেন না। ছাত্র ওঠানো-নামানো কাজটি ছাত্রনেতারা করেন। এই ক্ষমতা ব্যবহার করে সমস্ত সাধারণ ছাত্রকে তারা জিম্মি করে ফেলে। ঢাকায় ভাড়া দিয়ে বাহিরে থাকবে এমন সামর্থ্য দুএকজন ছাড়া কারোই থাকে না। বাধ্য হয়েই আজ্ঞাবহ দাসের মত হলযাপন করে নন-পলিটিক্যাল ছাত্ররা।
দেখা যায় প্রথম বর্ষের একজন ছাত্র এমএ'র ছাত্রকে ঘাড় ধাক্কা দিতে দিতে হল থেকে বের করে দিচ্ছেন। তখন হয়ত রাত বারটা গড়িয়েছে। এত রাতে কোথায় যাবে এই ভেবে ভয়ার্ত কন্ঠে বারবার ক্ষমার করার অনুরোধ করছে। পলিটিক্যাল ভাইয়েরা বিষয়টি নিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্য আর উল্লাস করছে। এটা প্রতিদিনের রুটিন ওয়ার্ক। এগুলো যারা করে আমরা তাদের বলি পলিটিক্স করছে। এই পলিটিক্সের সাথে যারা জড়িত তারা সমাজে নিজেদের গৌরবের সাথে পরিচয় দেন। এমনকী ছাত্র জীবনের পরেও গৌরব করে বলেন, তিনি ছাত্র রাজনীতি করতেন! আমরা তাদের প্রসঙ্গে বলি, অমুক নেতা আমার পরিচিত। পারলে তাদের সাথে দুএকটি ফটো তুলে ফেসবুকে পোস্ট দেই, অমুক ভাইয়ের সাথে বেল তলায়। এই নেতাদের বাবা-মাকেও দেখি ছেলেকে নিয়ে গৌরব করতে। কী সাংঘাতিক! যে সমাজ দুর্বৃত্তকে সম্মান করে, সন্ত্রাসীর সাথে সম্পর্ক থাকাকে গৌরব মনে করে সেই সমাজ নষ্ট সমাজ নয় কি? সেই সমাজ ভালো কী আশা করতে পারে? নষ্ট সমাজেতো দুর্বৃত্তায়নের চাষাবাদ হয়।
এর সমাধান হচ্ছে:

ইনিউজ ৭১/এম.আর