
প্রকাশ: ১ অক্টোবর ২০১৯, ১:২২

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়ার সঙ্গে এক চাকরি প্রত্যাশীর স্ত্রীর কথোপকথনের ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে। যেখানে উপ-উপাচার্য সাদিয়া সম্বোধন করে কথা বলছেন। মেয়েটির সঙ্গে নূরুল হুদা নামে একজনকে চাকরি নিয়ে দর কষাকষি করতে শোনা যায়। তবে সেখানে টাকার পরিমাণ উল্লেখ করা হয়নি। গতকাল মঙ্গলবার আলোচিত ফোনালাপটি গণমাধ্যমসহ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ফোনালাপের অংশ তুলে ধরা হল
উপ-উপাচার্য চৌধুরী জাকারিয়া : হ্যাঁ সাদিয়া, আমি প্রফেসর জাকারিয়া, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর।
উপ-উপাচার্য : ওয়ালাইকুম আসসালাম। আচ্ছা মা, একটা কথা বল তো। আমার খুব শুনতে ইচ্ছা যে, এখানে তোমরা কত টাকা দেওয়ার জন্য রেডি আছো?
উপ-উপাচার্য: না না, সত্যি কথাই তো বলবা। ওপরে আল্লাহ তায়ালা, নিচে আমি।
উপ-উপাচার্য : আচ্ছা রাখো, এখান থেকে কথা বলা যাবে না।

জানা গেছে, উপ-উপাচার্যের সঙ্গে কথোপকথনে অংশ নেয়া সাদিয়ার স্বামী নূরুল হুদা সম্প্রতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চাকরিপ্রার্থী ছিলেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে অনার্সে ৩.৬৫ ও মাস্টার্সে ৩.৬০ সিজিপিএ পেয়ে পাশু করেন। আইন অনুষদে সেরা হওয়ায় ২০১৭ সালে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্ণপদক এবং ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক পান। হুদার বাড়ি উপ- উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়ার এলাকা লালমনিরহাটে।
এদিকে বিভিন্ন প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার দুপুরে অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া তাঁর লিখিত বক্তব্যে বলেন, চাকরিপ্রার্থী নুরুল হুদা লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার একজন হতদরিদ্র কৃষকের সন্তান। ছাত্রজীবন একেবারে প্রথম থেকেই আমি স্থানীয় অভিভাবক হিসেবে নুরুল হুদাকে দেখভাল করেছি। এবিষয়টি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের লালমনিরহাট জেলা সমিতির প্রায় সকল শিক্ষক এবং ঐ সময়কার শিক্ষার্থীরা সবাই জানে। হুদার পড়ালেখা চলমান রাখতে তাকে দুটি স্কলারশীপেরও ব্যবস্থা করে দিয়েছিলাম।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব