করোনার নতুন ধরন ঠেকাতে কতটা প্রস্তুত বাংলাদেশ?

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইনিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ১লা ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৬:৩৩ অপরাহ্ন
করোনার নতুন ধরন ঠেকাতে কতটা প্রস্তুত বাংলাদেশ?

ওমিক্রন ছাড়াও আরও নতুন চার ধরনের করোনা ভ্যারিয়েন্টের অস্তিত্ব মিলছে পৃথিবীজুড়ে। এর মধ্যে চীন, ফ্রান্স, সাইপ্রাস ও দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন ভ্যারিয়েন্ট উল্লেখযোগ্য। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেল্টা বা ওমিক্রনের মতো এ ভ্যারিয়েন্টগুলোও যাতে দেশে ঢুকতে না পারে সে জন্য আগে থেকেই সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা ঠিক করতে হবে।


বাংলাদেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ২৮ হাজার। করোনার নতুন যে ধরনে পুরোবিশ্ব ভীত সেটি ওমিক্রন। এর আগে দাপট দেখিয়েছে ডেল্টা। কিন্তু এই ভ্যারিয়েন্টগুলোই শেষ কথা নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার আরো চারটি ধরনের দেখা মিলছে দেশে দেশে।


এরমধ্যে ফ্রান্সে IHN, সাইপ্রাস ও দক্ষিণ আফ্রিকাতে নতুন দুটি ভ্যারিয়েন্ট এবং চীনে আছে নিওকভ।



যদিও এসব ভ্যারিয়েন্ট এখনও খুবই প্রাথমিক গবেষণা পর্যায়ে আছে। যদিও এসব ভিন্ন ধরন হিসেবেই বলছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের সাবেক উপদেষ্টা ডা. মোজাহেরুল হক।


যদিও নিওকভকে করোনা না বলে সার্স ভাইরাস বলতে চান অনেকে। নতুন এই ধরন ঠেকাতে কতটা প্রস্তুত বাংলাদেশ, করণীয়ই বা কী?


এখানেও স্বাস্থ্যবিধি মানতে জোর দিলেন কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি চালিয়ে যাওয়া প্রথম প্রস্তুতি। আর টিকাদান কর্মসূচির আওতায় নিজেকে সুরক্ষিত করতে হবে। তারমতে, বাংলাদেশে যথেষ্ট পরিমাণে টিকা মজুদ আছে।


বাস্তবতা বলছে, কিছুক্ষেত্রে বাংলাদেশে পরিকল্পনা করে চিহ্নিত করা রেড জোনের জেলাগুলোর চেয়ে গ্রীন বা ইয়েলো জোনে মৃতের সংখ্যা বেশি। যেমন ময়মনসিংহ রেড জোন না হলেও গত ছয় দিনে এখানে মারা গেছেন ২৫ জন যা রেড জোন রাজশাহীর চেয়ে অনেক বেশি।


যদিও গবেষকদের মতে, ভাইরাসের ধর্মই হলো তা ধরন পরিবর্তন করে। তবে তা দুর্বল নাকি সবল হবে সেটি সময়ই বলে দেবে।


নানা উদ্যোগ আর পরিকল্পনা ছিল, কিন্ত তারপরও শুরুতে করোনা, এরপর ডেল্টা এবং সবশেষ ওমিক্রনকেও ঠেকাতে পারেনি বাংলাদেশ। এ জন্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামীতে আরো নতুন কোনো ধরন আসার আগেই তা মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে।