করোনা হাসপাতাল থেকে পালিয়েছে ৬৬ রোগী !

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইনিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার ১৭ই এপ্রিল ২০২১ ১১:১৫ পূর্বাহ্ন
করোনা হাসপাতাল থেকে পালিয়েছে ৬৬ রোগী !

করোনা হাসপাতাল থেকে পালিয়েছে ৬৬ রোগী !

ইনিউজ

নারায়ণগঞ্জে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়েও আক্রান্ত আর মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। এপ্রিল মাসের প্রথম দিনেই নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয় ১২৯ জন। এরপর থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় প্রতিদিনই শতাধিক নতুন আক্রান্তের খবর জানান জেলা সিভিল সার্জন অফিস। যার মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ১০ এ। গত ১৭ দিনে এ জেলায় কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত মারা গেছে ১৯ জন। আর মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১৯৯ জন।


সূত্র জানায়, ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ১ হাজার ৫৬৩ জন ব্যক্তি গত ১ বছরে ধরে চিকিৎসা নিয়েছেন। বর্তমানে এ হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৭৫ জন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ১২৭ জন। এর মধ্যে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে পুরোপুরি চিকিৎসা না নিয়ে নানা কারণে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছেন ৬৬ জন।


এ যখন অবস্থা তখন জেলার একমাত্র করোনা চিকিৎসা কেন্দ্র শহরের খানপুরে অবস্থিত ৩শ’ শয্যা হাসপাতালে আইসিইউতে বেডের সংখ্যা বাড়ানো হয়নি। করোনার প্রথম ধাক্কায় চিটাগাং রোডে অবস্থিত সাজেদা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হলেও সংক্রমণ কমে আসায় তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ধাক্কায় সংক্রমণ বাড়লেও সাজেদা হাসপাতাল চালুর চিন্তা করেননি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।


জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, গত বছর সংক্রমণ কমে যাওয়ায় মানুষের মাঝে একটা আত্মবিশ্বাস চলে আসে। তারা কোনও রকম স্বাস্থ্য বিধি না মেনে স্বাভাবিক সময়ের মতো চলাচল শুরু করে। এমনকি চিকিৎসা নিতে এসেও পালিয়ে গেছে ৬৬ জন।


হাসপাতালের ত্বত্তাবধায়ক আবুল বাশার জানান, গত ১ বছরে ৬৬ জন রোগী হাসপাতাল থেকে পালিয়েছে। তারা পুরোপুরি সেবা নেয়নি। তারা করোনা পজিটিভ ছিল।


তিনি জানান, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে হঠাৎ করে রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। আমি মনে করে সবাইকে ঘরে থেকে সংক্রমণ কমাতে হবে।


নারায়ণগঞ্জের করোনা ফোকাল পার্সন ডা. জাহিদুল ইসলাম আরটিভি নিউজকে জানান, প্রতিদিন ব্যাপক হারে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। কিন্তু হাসপাতালের আইসিইউর সংখ্যা বাড়ানো যায়নি তাই করোনা সংক্রমণ যাতে না বাড়ে সেজন্য সবাইকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে।


জানা যায়, গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনায় সংক্রমিত তিন রোগীর মধ্যে দুইজন ছিলেন নারায়ণগঞ্জের। ৩০ মার্চ করোনায় সংক্রমিত হয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়। গত ৭ এপ্রিল করোনা সংক্রমণের জন্য নারায়ণগঞ্জকে অতি ঝুঁকিপূর্ণ জেলা হিসেবে চিহ্নিত করেছিল আইইডিসিআর। এ বছরের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে জেলায় প্রতিদিন শনাক্তের হার নেমে এসেছিল। তবে ফেব্রুয়ারির শেষ দিক থেকে আবার দ্রুত গতিতে সংক্রমণ বাড়ছে। এবারও ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলোর অন্যতম হলো নারায়ণগঞ্জ।