ভারত কে হুংকার সময় থাকতে হাসিনাকে ফেরত পাঠান- দুদু

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইনিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ১৯শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৭:৫১ অপরাহ্ন
ভারত কে হুংকার সময় থাকতে হাসিনাকে ফেরত পাঠান-  দুদু

বাংলাদেশের বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, "ভারত আমাদের বন্ধু। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তারা আমাদের সহযোগিতা করেছে। তবে একজন গণহত্যাকারীকে তারা আশ্রয় দেবে, এমনটি আমরা আশা করি না।" 


বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের’ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন। দুদু বলেন, "যারা এ দেশের কৃষক ও শ্রমিকদের ১৮ থেকে ২০ লাখ কোটি টাকা লোপাট করেছে, যারা সাধারণ মানুষের হত্যাকাণ্ডে জড়িত, তাদের ভারতে থাকতে দেওয়া উচিৎ নয়।"


তিনি ভারতের রাষ্ট্রপ্রধানকে বিশেষভাবে আহ্বান জানিয়ে বলেন, "সাময়িকভাবে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনুন।" বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, "বাঙালি জাতি যদি একবার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে তা ৫ আগস্টের ঘটনায় প্রমাণিত হয়েছে। যদি ভারত অন্যায়কারীদের আশ্রয় দেয়, তবে এ দেশবাসী তাদের নিয়ে চিন্তা করবে না।"


শামসুজ্জামান দুদু বলেন, "আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন, গণতন্ত্রের লড়াই শেষ হয়নি। এটি তখনই শেষ হবে, যখন সাধারণ মানুষ ভোট দেওয়ার অধিকার ফিরে পাবে।" তিনি বলেছিলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর সমর্থন রয়েছে এবং তাদের প্রধান কাজ একটি সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা।


তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, "এই সরকার যারা ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত হয়েছেন, তাদের সাহায্য করেছে। এটি একটি ভালো কাজ, তবে আরও ভালো কাজ হবে যদি গত ১৬ বছর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের সাহায্য করা হয়।"


দুদু বলেন, "গণতন্ত্রের জন্য মানুষ ’৭১ সালে রক্ত দিয়েছে। সেই গণতন্ত্র বারবার হারিয়েছি। এখন একটি সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সেই সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য আমি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও উপদেষ্টাদের আহ্বান জানাচ্ছি।" 


এ সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকনসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। 


বিএনপি নেতাদের এ ধরনের মন্তব্য রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর নতুন আলো ফেলেছে এবং দেশে বিরোধী দলের দাবিগুলোর প্রতি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নজর বাড়িয়েছে।