জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সার্ভার হ্যাকিং এর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। সেই সাথে এ ঘটনা রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলেও মত দিয়েছে। এনবিআরে পাঠানো একটি প্রতিবেদনে এ উদ্বেগের কথা জানিয়ে, জড়িত ৩২ কর্মকর্তা ও কর্মচারির বিরুদ্ধে অবিলম্বে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সার্ভার হ্যাক করে ২০১৬ সাল থেকে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে তা অবৈধভাবে ব্যবহার করে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্যও খালাস করে তারা। বাংলাদেশ ব্যাংকে হ্যাকিংয়ের ঘটনার পর কাস্টমস এর সার্ভারে এমন ঘটনায় সমালোচনা হয় বিভিন্ন মহলে।
তবে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার এক প্রতিবেদন বলছে, এ ঘটনায় জড়িত খোদ চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমসের ৩২ জন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা। যারা এমন অবৈধ কাজে সিএন্ডএফ এজেন্টদের সহযোগিতা করেছেন। ২২ টি চালান ছাড়ের ঘটনার সাথে জড়িত এজেন্টদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদের সুপারিশ করা হয় প্রতিবেদনে। আশঙ্কা প্রকাশ করা হয় এ ধরনের ঘটনায় বৈধ পণ্যের আড়ালে দেশে প্রবেশ করতে পারে অস্ত্র-গোলাবারুদের মত অবৈধ পণ্য। চলতি বছরের শুরুর দিকে এ ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার পর চারটি তদন্ত কমিটি গঠন করার পাশাপাশি মামলাও হয়। এনবিআর বলছে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ঘটনায় জড়িত কাস্টমস কর্মকর্তা এবং তদন্তে নিয়োজিত কাস্টমস কর্মকর্তারা একজন আরেক জনের পরিচিত। ফলে তদন্ত কমিটি নিয়েও সন্দেহের অবকাশ রয়েছে বলে মন্তব্য করা হয়। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এনবিআরকে নির্দেশ দিয়েছে। এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে জড়িত কয়েকজনকে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।