
প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০১৯, ১৮:৪

ক্রিসেন্ট গ্রুপের নানা জাল-জালিয়াতি, অর্থপাচার ও আত্মসাতের ঘটনার পর ডুবছে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক। হল-মার্ক ঋণ কেলেঙ্কারির বোঝা বইছে সোনালী ব্যাংক। ঋণ জালিয়াতিতে এখনও বেহাল দসা বেসিকের। অগ্রণী, রূপালী ও বিডিবিএলেরও একই অবস্থা। এসব ব্যাংকে লাগামহীনভাবে বাড়ছে খেলাপি ঋণ। নানা সংকটে মূলধনও খেয়ে ফেলছে। সব মিলিয়ে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো বর্তমানে নাজুক অবস্থায় রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো চলছে নানা অনিয়ম-অব্যবস্থাপনায়। রাজনৈতিক হস্তক্ষেপও বেড়েছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একক কর্তৃত্বও নেই এসব ব্যাংকে। ফলে বাড়ছে নানা জাল-জালিয়াতি, অর্থপাচার ও আত্মসাতের ঘটনা। এতে নাজুক অবস্থায় পড়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো। খারাপ অবস্থা থেকে এসব ব্যাংককে ফেরাতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ মুক্ত করে সুশাসন নিশ্চিতের পাশাপাশি ঋণ কেলেঙ্কারির নেপথ্যের নায়কদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিতের ওপর জোর দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, রাষ্ট্র খাতের ব্যাংকগুলোর আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভালো নেই। খেলাপি ঋণ বেড়েছে। প্রভিশন সংরক্ষণে ব্যর্থ, মূলধন ঘাটতি ও লোকসানের কারণে নাজুক অবস্থায় পড়েছে এসব ব্যাংক।
জনতা ব্যাংক
সোনালী ব্যাংক
বেসিক ব্যাংক
অগ্রণী

রূপালী
বিডিবিএল
‘খেলাপি ঋণ না কমলে ব্যাংক খাত স্বাভাবিক হবে না। এজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে কঠোর হতে হবে। সরকারকেও সহযোগিতা করতে হবে’- যোগ করেন সাবেক এ গভর্নর। একই সঙ্গে সুশাসন নিশ্চিতের পাশাপাশি ব্যাংকগুলোর পর্ষদ রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ মুক্ত করতে হবে বলেও জানান তিনি। সম্প্রতি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নানা অনিয়মের কারণে বৈদেশিক বাণিজ্য থেকে ছিটকে পড়ছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো। সংস্থাটি বলছে, একসময় দেশের বৈদেশিক বাণিজ্য (আমদানি-রফতানি) সেবা প্রদানে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকই ছিল চালকের আসনে। কিন্তু ব্যবস্থাপনার ব্যর্থতায় এ স্থান দখলে নিয়েছে বেসরকারি ব্যাংকগুলো। ২০১৮ সালে দেশের মোট রফতানির মাত্র ৭ শতাংশ হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মাধ্যমে। বছরটিতে রফতানি বাণিজ্যের ৭৪ শতাংশই হয়েছে বেসরকারি ব্যাংকের হাত ধরে।
ইনিউজ ৭১/এম.আর