প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭:৩৮
দেশের বাজারে আবারও সয়াবিন ও পাম তেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে ব্যবসায়ীরা। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন এ দফায় প্রতি লিটার তেলের দাম ১০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে বলে জানা গেছে।
রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রস্তাবটি পর্যালোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনও যুক্ত থাকবে।
সংগঠনটি জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন তেলের দাম প্রতি টন ১ হাজার ২০০ ডলারে পৌঁছেছে। সাম্প্রতিক সময়ে সয়াবিন ও পাম তেলের দাম ১৮-২০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। ফলে দাম সমন্বয় ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই বলে তারা দাবি করছে।
তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, কোম্পানিগুলো যে হারে দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে তা আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। প্রতি লিটারে ১০ টাকা বাড়ানো অতিরিক্ত বলে মনে করছে মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ব্যবসায়ীদের প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারের তথ্য ও স্থানীয় বাজারের অবস্থা বিশ্লেষণ করে দাম সমন্বয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বাংলাদেশে ভোজ্যতেল একটি আমদানিনির্ভর পণ্য হওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারের ওঠানামা সরাসরি প্রভাব ফেলে। এ কারণে দাম বাড়া বা কমা নিয়মিত ঘটে থাকে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সাধারণ মানুষের স্বার্থে দাম বৃদ্ধি যেন অযৌক্তিক না হয় সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। এজন্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একাধিক দফায় আলোচনা করে যৌক্তিক সমাধান খোঁজা হচ্ছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ভোজ্যতেলের দাম বাড়লে দেশের সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় আরও বৃদ্ধি পাবে। তাই সরকারের উচিত দ্রুত একটি ভারসাম্যপূর্ণ নীতি প্রণয়ন করা, যাতে আন্তর্জাতিক বাজারের প্রভাব মোকাবিলা করেও অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল রাখা যায়।