সিলেট নগরীতে মশার উৎপাত বেড়ে গেছে। বৃষ্টির পরিমাণ কমে যাওয়ার ফলে শীতের পূর্বাভাস দেখা দেয়ার সাথে সাথে নগরীর অলিগলিতে মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। নগরবাসী এই পরিস্থিতিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন, বিশেষ করে বিকেল হলেই ড্রেন, নালা ও ছড়ায় অসংখ্য মশা দেখা যায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক) এ সময়ে কার্যকরী মশক নিধন কর্মসূচি পরিচালনা করতে পারছে না। প্রায় দেড় মাস ধরে নগরীর কোথাও মশক নিধন কর্মীদের দেখা যাচ্ছে না। সিসিকের জনবল সংকট এবং মেয়র-কাউন্সিলর শূন্যতার কারণে কার্যক্রমে ভাটা পড়েছে। নগরীর ৪২টি ওয়ার্ডে কাজ করতে প্রয়োজনীয় জনবল ও সম্পদের অভাব রয়েছে।
সিসিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বছরে ৪ ধাপে মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। তবে জনবল সংকটের কারণে তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। মশা নিয়ন্ত্রণে এক এলাকায় ১৫ দিন পর পর স্প্রে এবং ফগার মেশিন ব্যবহারের পরিকল্পনা থাকলেও তা বাস্তবায়িত হচ্ছে না।
মহল্লার বাসিন্দা মুজিব খান বলেন, “শীত আসছে, কিন্তু সন্ধ্যা হলেই মশার যন্ত্রণায় ঘরে থাকা দায়। সিসিকের অবহেলার কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।”
এ বিষয়ে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, অর্থ ও জনবলের সংকটের কারণে কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। তবে সেপ্টেম্বর থেকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কিছু কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে এবং ১৫ জন সুপারভাইজার ও কর্মী বিভিন্ন ওয়ার্ডে কাজ করছেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।