প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৫, ১১:৪১
বাংলাদেশের দুর্যোগ মোকাবিলা ও পুনর্বাসন সক্ষমতা বাড়াতে ২৭ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক, যা দেশীয় মুদ্রায় ৩ হাজার ২৮৩ কোটি টাকার সমান। ‘বাংলাদেশ সাসটেইনেবল ইমার্জেন্সি রিকভারি প্রিপেয়ার্ডনেস অ্যান্ড রেসপন্স প্রকল্প’ সংক্ষেপে বি-স্ট্রং প্রকল্পের আওতায় এই ঋণ সহায়তা দেবে সংস্থাটি।
রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে আনুষ্ঠানিক ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশের পক্ষে ইআরডি সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে সংস্থাটির ঢাকা অফিসের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রকল্পটি ২০২৫ সালের জুলাই থেকে শুরু হয়ে ২০৩০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। এই সময়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো পুনর্গঠন, বাঁধ সংস্কার এবং দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষমতা গড়ে তোলার কার্যক্রম পরিচালিত হবে। প্রকল্পটি পাঁচটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তরের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে।
বিশেষভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ড, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এবং সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন প্রকল্প বাস্তবায়নে যুক্ত থাকবে। এতে গত বছরের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে রাস্তাঘাট ও অন্যান্য অবকাঠামোর দ্রুত পুনর্গঠন সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই ঋণ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা আইডিএ থেকে নেওয়া হবে, যা পাঁচ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরে পরিশোধ করতে হবে। বার্ষিক ০.৭৫ শতাংশ সার্ভিস চার্জ, ১.২৫ শতাংশ সুদ এবং অনুত্তোলিত অর্থের ওপর ০.৫০ শতাংশ হারে কমিটমেন্ট ফি নির্ধারিত থাকলেও, বিশ্বব্যাংক সাধারণত এ ফি মওকুফ করে।
বিশ্বব্যাংক স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী। এখন পর্যন্ত ৪৩ দশমিক ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সংস্থাটি, যা বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করেছে।
বর্তমানে বিশ্বব্যাংক অর্থনৈতিক উন্নয়ন, অবকাঠামো, জ্বালানি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসহ ৪৭টি চলমান প্রকল্পে ১৩ দশমিক ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থায়ন করছে, যা বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংক সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করে তুলেছে।