শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারতীয় পণ্যসহ ৩ অবৈধ অনুপ্রবেশকারী আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইনিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার ১৫ই মার্চ ২০২৫ ০৪:৩১ অপরাহ্ন
শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারতীয় পণ্যসহ ৩ অবৈধ অনুপ্রবেশকারী আটক

সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানাধীন শৈলখালী এলাকায় শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারতে থেকে আসা বিপুল পরিমাণ অবৈধ পণ্যসহ ৩ জন অবৈধ অনুপ্রবেশকারীকে আটক করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। গত ১৪ মার্চ ২০২৫ তারিখ বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়।  


অভিযানটি বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন অধীনস্থ বিসিজি স্টেশন কৈখালী এবং পুলিশের সমন্বয়ে পরিচালিত হয়। কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।  


অভিযান চলাকালে ভারত থেকে বাংলাদেশে অবৈধভাবে প্রবেশ করার সময় সন্দেহভাজন ৩ নারীকে আটক করা হয়। তাদের সঙ্গে ৭টি ব্যাগ ছিল, যেগুলি তল্লাশি করে বিপুল পরিমাণ অবৈধ ভারতীয় কাপড় ও কসমেটিক্স জব্দ করা হয়।  


আটককৃতদের মধ্যে মোছাঃ শাহনেওয়াজ বেগম (৩৯), মোছাঃ রোজিনা খান (২৬) এবং মোছাঃ জুলি (২৮) নামের তিনজন মহিলা রয়েছেন। তারা ভারতীয় নাগরিক হলেও দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বাংলাদেশে বসবাস করছিলেন বলে জানানো হয়েছে। তাদের কাছ থেকে কোনো বৈধ পাসপোর্ট বা বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়া যায়নি।  


প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, আটককৃতরা ভারতের গুজরাট এবং বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা। তারা অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করে বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকায় চোরাচালানকারী হিসেবে কাজ করছিলেন।  


এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানিয়ে কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা জানান, আটককৃত মহিলাদের এবং জব্দকৃত পণ্যের ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শ্যামনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।  


বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশের সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোধে তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। তারা এধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।  


এছাড়া ভবিষ্যতেও এই ধরনের অভিযান পরিচালনা করা হবে, যাতে সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় এবং দেশি-বিদেশি চোরাচালানকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়।  


স্থানীয় প্রশাসনও এ ধরনের অভিযানে কোস্ট গার্ডের সাথে সমন্বয় রেখে কাজ করার জন্য প্রস্তুত। তবে, জনগণকে সচেতন করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে আরও পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।  


এ ঘটনার পর স্থানীয় এলাকায় পুলিশের উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে এবং অভিযানের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করার জন্য কোস্ট গার্ড এবং পুলিশ যৌথভাবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।