ওয়ান ইলেভেনের পররাষ্ট্রনীতিতে ভুল ছিল: সাবেক মার্কিন কূটনীতিক

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইনিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার ৮ই মার্চ ২০২৫ ০৫:৩২ অপরাহ্ন
ওয়ান ইলেভেনের পররাষ্ট্রনীতিতে ভুল ছিল: সাবেক মার্কিন কূটনীতিক

ওয়ান ইলেভেনের সময় মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিতে কিছু ভুল ছিল মন্তব্য করেছেন সাবেক মার্কিন কূটনীতিক জন এফ ড্যানিলোভিচ। তিনি বলেন, সে সময় মার্কিন সরকার প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারে যথেষ্ট মনোযোগ দেয়নি এবং এর ফলে ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের সমর্থন নিয়ে সেই ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।


শনিবার (৮ মার্চ) সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বিশেষ সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। ‘মাইলাম ও জন-এর সঙ্গে সংলাপ’ অনুষ্ঠানে আলোচনা হয় বাংলাদেশের গণ-আন্দোলন এবং বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্কের বর্তমান গতিশীলতা নিয়ে।


ড্যানিলোভিচ জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতন্ত্র সম্পর্কে তার জনগণকে সচেতন করার জন্য একটি ছোট সংগঠন গঠন করেছে এবং গত পাঁচ বছরে সেই উদ্যোগকে সমর্থন করার জন্য অর্থায়ন করা হয়েছে।


তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার তাকে তাদের পক্ষ নিতে বাধ্য করার চেষ্টা করেছিল এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য সংগ্রহ করা ছিল তার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, স্বৈরাচারী শাসন কখনোই গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক নয় এবং গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি শক্তিশালী সামরিক-বেসামরিক সম্পর্ক অপরিহার্য।


ড্যানিলোভিচ বাংলাদেশের সেন্টমার্টিন দ্বীপে মার্কিন সামরিক কার্যক্রম নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, এসব তথ্য একেবারে মিথ্যা এবং কিছু গোষ্ঠী উদ্দেশ্যমূলকভাবে ছড়াচ্ছে।


তিনি আরও বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির একটি ভুল ছিল ২০০৭-০৮ সালে, যখন বাংলাদেশের ক্ষেত্রে যথাযথ প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ও গণতন্ত্রের বিকাশে যথেষ্ট মনোযোগ দেওয়া হয়নি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সেই ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করছে এবং জনগণের সমর্থনে কাজ করছে।


ড্যানিলোভিচ গণতন্ত্রের শক্তিশালী ভিত্তি গড়ে তোলার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভূমিকা এবং নাগরিক সাংবাদিকতার গুরুত্বও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, মিডিয়ার প্রভাব অস্বীকার করা যায় না এবং গণতান্ত্রিক আলোচনাকে শক্তিশালী করতে নাগরিক সাংবাদিকতাকে উৎসাহিত করা উচিত।


অনুষ্ঠানে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম বি মাইলাম, সাবেক কূটনীতিক জন এফ ড্যানিলোভিচ, বিভিন্ন বিদেশি মিশনের কূটনীতিক, রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী নেতা, আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।