গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাশেদ খাঁন আওয়ামী লীগকে হিটলারের নাৎসি বাহিনীর মতো নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন। শুক্রবার বিকেলে বিজয়নগরে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন। রাশেদ খাঁন বলেন, শেখ পরিবারের নেতৃত্বে দেশে গণহত্যা হয়েছে এবং এসব অপরাধের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রম চলতে দেওয়া উচিত নয়। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করতে হবে এবং তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই।
রাশেদ খাঁন অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের নেতাদের খুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো উল্লেখযোগ্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। খুনিদের শাস্তি না হলে তা শহীদের রক্তের সাথে বেইমানি হবে। এছাড়া তিনি দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরসহ ভারতের পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের নেতৃত্বে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, ভ্যাট-ট্যাক্সের চাপ এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। গতকাল জাতীয় সংলাপে প্রায় সব রাজনৈতিক দল সরকারের সমালোচনা করেছে। সরকারের প্রতি মানুষের অসন্তোষ বাড়ছে এবং এই পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করলে জনগণের প্রতিরোধের মুখে পড়তে হবে।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে। প্রকৃত ছাত্রনেতাদের বাদ দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের অসন্তুষ্ট করেছে। তিনি দাবি করেন, একটি জাতীয় কমিশনের মাধ্যমে সবার মতামত নিয়ে ঘোষণাপত্র তৈরি করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় ৮৩৪ জন শহীদের তালিকা প্রকাশ করলেও বাকিদের তালিকা এখনো প্রকাশ করা হয়নি। শহীদ পরিবারদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ এবং আহতদের জন্য আর্থিক সহায়তার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, সরকারকে সঠিক ইতিহাস প্রকাশ করতে হবে। একাত্তরের মতো কোনো বিকৃত ইতিহাস আর সহ্য করা হবে না।
গণঅধিকার পরিষদের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি এডভোকেট নাজিম উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য শাকিল উজ্জামান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ঈসমাইল আহমেদ বন্ধন এবং মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক নুরুল করিম শাকিল।
সমাবেশে বক্তারা বর্তমান সরকারের নানা কর্মকাণ্ডের কঠোর সমালোচনা করেন এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। সমাবেশের প্রধান বক্তারা আওয়ামী লীগের অধীনে আর কোনো নির্বাচন নয় বলে দৃঢ় অবস্থান জানান।
এই সমাবেশে অংশ নেওয়া নেতারা দাবি করেন, দেশের জনগণের স্বার্থে আওয়ামী লীগসহ সকল স্বৈরাচারী রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করতে হবে। গণতন্ত্র রক্ষার লড়াইয়ে জনগণকে একতাবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তারা।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।