শ্রীমঙ্গলে ‘মব সিস্টেমে’ সরকারিভাবে ইজারা দেওয়া জলমহালে মাছ লুট !

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে যুবদল নেতা আহাদ সমিতির কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। চাঁদা না দেওয়ায় গত ৩০ নভেম্বর রাতে তিনি মাইকিং করে ইজারা “অবৈধ” ঘোষণা করেন। এরপর পরদিন সকালে তার নেতৃত্বে শতাধিক লোক জলমহালে ঢুকে মাছ লুট করে নিয়ে যায়। এতে সমিতির প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করা হয়। বাধা দিতে গেলে হামলার চেষ্টা করে উত্তেজনা সৃষ্টি করা হয়।

খবর পেয়ে দুপুরে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসলাম উদ্দিন, এসিল্যান্ড এবং শ্রীমঙ্গল থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

সুজিত সরকারের অভিযোগ, আহাদ “নিজেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও ধানের শীষের প্রার্থী মুজিবুর রহমান চৌধুরীর লোক” দাবি করে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেন।

অন্যদিকে যুবদল নেতা আহাদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “চাঁদাবাজির বিষয়টি মিথ্যা। আমরা স্থানীয়দের অভিযোগে হাওরের নেটের বেড়া অপসারণ করতে গিয়েছি।”

এ বিষয়ে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন জারু বলেন, “চাঁদাবাজির অভিযোগ সত্য হলে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মুজিবুর রহমান চৌধুরী জানান, “সে আমার নাম ভাঙায়নি। কেউ চাঁদাবাজি করলে সে আমার লোক নয়—প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।”

শ্রীমঙ্গল থানার ওসি বলেন, অভিযোগটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।