দিনমজুর আলাউদ্দিন হত্যাকাণ্ডে ১৭ মাস পর এক আসামি গ্রেপ্তার

বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করে নোয়াখালী পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার (এসপি) আর এম ফয়জুর রহমান জানান, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হত্যা মামলায় আসামিকে আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় পিবিআই নোয়াখালীর একটি দল উপজেলার যাদবপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে লাতুকে গ্রেপ্তার করে।

নিহত আলাউদ্দিন (২৬) বাটইয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ও পেশায় একজন দিনমজুর ছিলেন। পিবিআই জানায়, ২০২৪ সালের ১ মে রাত সাড়ে ৯টার দিকে নরোত্তমপুর ইউনিয়নের তৎকালীন চেয়ারম্যান এ.কে.এম সিরাজ উল্যার বাড়ির ঘাটলায় চোর সন্দেহে আলাউদ্দিনকে আটক করেন বাড়ির কেয়ারটেকার লাতু। পরে চেয়ারম্যানের নির্দেশে লাতুসহ এজহারনামীয় আসামিরা লোহার রড, লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে মারধর করে গুরুতর জখম করে।

পিবিআইয়ের তথ্য অনুযায়ী, মারধরের পর চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনের দুইতলা আজিমা দরবার হলে তাকে আটকে রাখা হয়। গভীর রাতে সেখান থেকে পালিয়ে আলাউদ্দিন কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন। পরবর্তীতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়, যেখানে ঘটনার পাঁচ দিন পর ৬ মে বিকেলে তিনি মারা যান।

ওই সময় চেয়ারম্যান সিরাজ উল্যা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিষয়টি মীমাংসার আশ্বাস দেন, ফলে নিহতের পরিবার লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করে। কিন্তু প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের পর নিহতের মা আদালতে মামলা দায়ের করলে ১৩ জুন কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত করা হয়। দীর্ঘ ১৭ মাস তদন্ত শেষে পিবিআই আসামিকে গ্রেপ্তার করে এবং তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন।