ধর্ষণকাণ্ডে উত্তাল খাগড়াছড়ি, টানা অবরোধে স্থবির জনজীবন

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এবং সাত প্লাটুন বিজিবি টহল দিচ্ছে। এর আগে শনিবার অবরোধ চলাকালে পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া এবং ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। দুপুরে প্রশাসন খাগড়াছড়ি সদর, পৌরসভা ও গুইমারা উপজেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করে।

অবরোধ চলাকালে সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে ব্যারিকেড সৃষ্টি করা হয়। এতে সাধারণ মানুষের চলাফেরা ও ব্যবসা-বাণিজ্যে বিপর্যয় নেমে আসে। আলুটিলায় একটি অ্যাম্বুলেন্স ও নারানখাইয়ায় একটি অটোরিকশা ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। এসব ঘটনায় আতঙ্কে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা।

শনিবারের সংঘর্ষে অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত একজনকে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে। সহিংসতায় নারিকেলবাগান ও স্বনির্ভর এলাকায় কয়েকটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এদিকে গত ২৩ সেপ্টেম্বর অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হলে এলাকাজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। গ্রেপ্তারকৃত আসামি শয়ন শীল ছাড়া অন্য অভিযুক্তদের ধরতে না পারায় আন্দোলনকারীরা চার দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের অবরোধ ঘোষণা করে।

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল জানিয়েছেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত হলেও সতর্কতা বজায় রাখা হচ্ছে। জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা বহাল থাকবে।