প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮:১৯
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে শনিবার বিশেষ বাণীতে বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা যে বৈষম্য ও দুর্নীতিমুক্ত সমৃদ্ধ দেশের অগ্রযাত্রা শুরু করেছি, তার সফল বাস্তবায়নের জন্য সকলকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে একযোগে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, সকল অশুভ, অন্যায় ও অন্ধকারকে পরাজিত করে শুভ চেতনার জয় হবে এবং বাংলাদেশ কল্যাণ ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে।
ড. ইউনূস উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা। হিন্দু ধর্মমতে, দেবী দূর্গা স্বর্গলোক থেকে মর্ত্যলোকে এসে ভক্তদের কল্যাণ সাধন করেন এবং শত্রু ও অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটান। এই উৎসব সত্য ও সুন্দরের আরাধনার মাধ্যমে দেশের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সমৃদ্ধ করেছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে সকল ধর্ম-সম্প্রদায়ের মানুষের অসাধারণ মেলবন্ধন লক্ষ্য করা যায়। জাতি, ধর্ম বা বর্ণ নির্বিশেষে আমাদের সকলের পরিচয় বাংলাদেশি। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ধারাকে অক্ষুণ্ণ রেখে এবারের দূর্গাপূজাও সারাদেশে নির্বিঘ্নে উদযাপিত হবে, যেখানে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও আয়োজনের মাধ্যমে উৎসবের যথাযথ উদযাপন হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শান্তি, মৈত্রী ও সাম্য সকল ধর্মের মূল উপজীব্য। মানুষের কল্যাণ সাধনই সব ধর্মের মূল শিক্ষা। তাই নিজ নিজ ধর্মের যথাযথ অনুশীলনের পাশাপাশি মানুষে মানুষে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সম্মান ও সহমর্মিতা বজায় রেখে সমাজে শান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করা অত্যন্ত জরুরি।
ড. ইউনূস আশা প্রকাশ করেন, দূর্গাপূজা দেশের সামাজিক ঐক্য ও শান্তি বজায় রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। তিনি সকল নাগরিককে উৎসব উদযাপনে সচেতন, শান্তিপূর্ণ ও সৃষ্টিশীলভাবে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান।
তিনি শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বী নাগরিকদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এই উৎসব সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও মানবিক মূল্যবোধের দৃঢ় ভিত্তি গড়ে তুলতে সহায়ক হবে।
ড. ইউনূসের বাণী সকলকে মনে করিয়ে দেয় যে, জাতি ও ধর্ম নির্বিশেষে সহযোগিতা, সম্মান ও মানবিক সহমর্মিতা বজায় রাখাই দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধির মূল চাবিকাঠি।