প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮:৮
নোয়াখালীর মাইজদীতে ছাদ থেকে পড়ে আতিকুল ইসলাম তিতাস (২৫) নামে এক কলেজ ছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছে। শনিবার দুপুরে মাইজদী শহরের বিবি কনভেনশন হল সেন্টারের বহুতল ভবনের ছাদে এই ঘটনা ঘটে। নিহত তিতাস চৌমুহনী পৌরসভার হাজীপুর এলাকার শহীদ চেয়ারম্যান বাড়ির আব্দুল গনির ছেলে।
তিতাস নোয়াখালী কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বড় ভাই আরিফুল ইসলাম জানান, পরিবার চৌমুহনী পৌরসভায় থাকলেও তারা গত ২০-২৫ বছর ধরে নোয়াখালী জেলা রোডের আক্তার ভবনের তৃতীয় তলায় ভাড়া বাসায় বসবাস করছিল। সকালে বাসা থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর তিতাসকে দুপুরে ছাদ থেকে পড়ে আহত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।
স্থানীয়রা দ্রুত তাকে ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের দেহে অনেক চিহ্ন দেখা গেছে। তার হাত তিনটি ভাঙা, পায়ে আঘাতের চিহ্ন এবং গলায় কাটা আঘাত রয়েছে। তবে এ ঘটনার সুনির্দিষ্ট কারণ এখনো জানা যায়নি।
নিহতের বড় ভাই অভিযোগ করেছেন, ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করা হয়েছে, তবে পুলিশ বলছে এ বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সুধারাম মডেল থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক আবু তাহের জানান, প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে তিতাস ছাদ থেকে পড়ে মারা গেছে। এ বিষয়ে আরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত রয়েছে এবং প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। এলাকাবাসী এবং পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কিত ও শোকস্তব্ধ। তারা ঘটনাটির প্রকৃত কারণ জানার দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয়দের মতে, মাইজদী শহরের এই বহুতল ভবনে নিরাপত্তার অভাবের কারণে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে বাড়ির মালিকদের সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনা নোয়াখালীর শিক্ষার্থী সমাজ ও এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া ফেলেছে। পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত কারণ উন্মোচনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।