প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬:১৫
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে টানা ৮ দিন দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে সরকারি ছুটির দিন ছাড়া অন্যান্য দিনগুলোতে পানামা পোর্ট অভ্যন্তরে পণ্য খালাসের কাজ স্বাভাবিক থাকবে। একই সঙ্গে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্ট যাত্রী পারাপার কার্যক্রমও স্বাভাবিকভাবে চলবে।
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি মোঃ সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী। তিনি জানান, দুর্গাপূজার সময় ভারতে নানা আনুষ্ঠানিকতা থাকে, তাই দুই দেশের ব্যবসায়ীদের আলোচনার ভিত্তিতে ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত টানা ৮ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন বলেন, আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও সরকারি ছুটির দিন ছাড়া অন্য দিনগুলোতে কাস্টমসের কার্যক্রম সচল থাকবে। আমদানিকারকেরা চাইলে বন্দর থেকে তাদের আমদানি করা পণ্য খালাস করতে পারবেন।
তিনি জানান, কাস্টমসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিয়মিত অফিসে থাকবেন এবং পণ্য খালাস কার্যক্রমও নির্ধারিত নিয়মে সম্পন্ন করা যাবে। এতে ব্যবসায়ীরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন না।
এদিকে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের অফিসার ইনচার্জ আরিফুল ইসলাম জানান, দুর্গাপূজার সময় ৮ দিন আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে দুই দেশের পাসপোর্ট যাত্রী পারাপার প্রতিদিনের মতোই সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত চলবে।
তিনি বলেন, ভারত-বাংলাদেশের যাত্রীরা এই সময়ের মধ্যে স্বাভাবিকভাবে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে যাতায়াত করতে পারবেন। এতে সীমান্তবর্তী অঞ্চলের যাত্রীদের কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, দুর্গাপূজায় আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও পণ্য খালাস কার্যক্রম সচল থাকায় ব্যবসায়ীরা স্বস্তিতে আছেন। এ সিদ্ধান্ত দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক বজায় রেখে উৎসবকে শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপন করার সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
হিলি বন্দর সংশ্লিষ্টরা আশা প্রকাশ করেছেন, দুর্গাপূজার উৎসব শেষ হলে পুনরায় আগের মতোই আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সচল হবে এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে স্বাভাবিকতা ফিরে আসবে।