বেগমগঞ্জে পাচারের পথে ৪২৫ কচ্ছপ উদ্ধার

উদ্ধারকৃত কচ্ছপের মধ্যে ৩২৫টি জীবিত এবং ১০০টি মৃত। বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে একটি সংঘবদ্ধ চক্র নোয়াখালীর বিভিন্ন এলাকা থেকে কচ্ছপ সংগ্রহ করে আসছিল। আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে এ কচ্ছপ পাচারের পরিকল্পনা ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট, বন অধিদপ্তরের স্থানীয় টিম ও কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবীর অংশগ্রহণে যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়। তবে অভিযানের সময় পাচারকারীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। উদ্ধারকৃত কচ্ছপগুলো শনিবার দুপুরে নোয়াখালীর বনবিভাগের জলাশয়ে অবমুক্ত করা হয়েছে। বাকি অংশ দেশের বিভিন্ন জেলার জলাশয়ে পর্যায়ক্রমে অবমুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

উপকূলীয় বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা আবু ইউসুফ বলেন, “কচ্ছপ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ অনুযায়ী সুরক্ষিত প্রাণী। এ প্রাণী শিকার, হত্যা বা পাচার সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।” তিনি আরও জানান, জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ভবিষ্যতেও এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে। অবৈধভাবে বন্যপ্রাণী সংগ্রহ, সংরক্ষণ বা পাচারের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না।

এ ঘটনায় স্থানীয়রা বন বিভাগ ও স্বেচ্ছাসেবীদের তৎপরতাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এ ধরনের সচেতনতা কার্যক্রম চালু থাকলে ভবিষ্যতে বন্যপ্রাণী পাচারের প্রবণতা কমে যাবে।