প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:২৭
খাগড়াছড়িতে বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আধাবেলা সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এ কর্মসূচি আহ্বান করেছে ইউপিডিএফ সমর্থিত তিনটি সংগঠন—পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও নারী আত্মরক্ষা কমিটি। অবরোধের কারণে খাগড়াছড়ি-ঢাকা, খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম ও খাগড়াছড়ি-সাজেক সড়কসহ জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে যান চলাচল সীমিত হয়ে পড়ে। দূরপাল্লার সব ধরনের যানবাহন বন্ধ থাকলেও স্থানীয়ভাবে অল্প কিছু যানবাহন সীমিত আকারে চলাচল করতে দেখা গেছে।
ভোর থেকেই অবরোধকারীরা চেঙ্গীব্রিজ, টেকনিক্যাল স্কুলের সামনে ও উপজেলা পরিষদ সড়কসহ বিভিন্ন স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে এবং গাছের গুড়ি ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এতে সড়ক ধরে চলাচলকারী সাধারণ মানুষ এবং যানবাহনবাহীদের জন্য বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। তবে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভায় এবং সড়ক থেকে প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
অবরোধ আহ্বানকারীরা অভিযোগ করেন, গত ৭ সেপ্টেম্বর মানিকছড়ির তবলা পাড়ায় সন্দেহভাজন কয়েকজনকে গ্রামবাসী আটক করলে তাদের ছাড়িয়ে আনতে গিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটে। এতে লাঠিচার্জ ও গুলিবর্ষণের অভিযোগ তুলে তাদের গ্রেপ্তারের দাবিতে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক স্বপন চাকমা এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন এবং বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের দাবি জানানোর উদ্দেশ্যেই এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে তিনি আশ্বাস দেন যে কোন ধরনের সহিংসতা পরিচালনা করা হবে না।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, অবরোধকারীরা শহরের প্রবেশমুখে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে চেষ্টা করলেও পুলিশের তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে। ঢাকা থেকে আসা নৈশ কোচগুলো নিরাপদে শহরে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছে।
নিরাপত্তা জোরদার করতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া পুলিশ সতর্ক রয়েছে যাতে সাধারণ মানুষের সড়ক চলাচলে কোনো ধরনের বাধা না আসে।
স্থানীয়দের মধ্যে কিছু অসুবিধা থাকলেও পুলিশের তৎপরতা ও অবরোধকারীদের অংশগ্রহণ সীমিত হওয়ায় বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়নি। প্রশাসনের নজরদারিতে পরিস্থিতি আপাতত স্থিতিশীল রয়েছে।
নাগরিকরা আশা করছেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হলে শহরের সড়কগুলো স্বাভাবিকভাবে চলাচলের উপযোগী হবে এবং এই ধরনের বিরোধপূর্ণ পরিস্থিতি পুনরায় সৃষ্টি হবে না।
উক্ত ঘটনা জেলার নিরাপত্তা ও জনসাধারণের জীবনযাত্রার উপর অল্প সময়ের জন্য প্রভাব ফেললেও প্রশাসনের তৎপরতা পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনে।