প্রকাশ: ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫:২৮
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ইমাম মেহেদী দাবিদার নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলের দরবারে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। ওই ঘটনার পর থেকেই এলাকায় ভয় ও শঙ্কা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দরবারের সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং জনসাধারণের ভিড় সামলাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
ঘটনার পর থেকে উৎসুক মানুষ ধ্বংসস্তূপ দেখতে ভিড় করছেন। স্থানীয়রা বলছেন, জুম্মার নামাজের পর পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ শেষে বিক্ষুব্ধ জনতা নুরাল পাগলের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় সেখানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়, যা মুহূর্তেই চারপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়।
এ ঘটনার জের ধরে গোয়ালন্দ ঘাট থানার উপ-পরিদর্শক সেলিম মোল্লা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ৩ হাজার থেকে ৩৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে তবে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
হামলা ও সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের দ্রুত ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সূত্রে জানা যায়, মোট ২২ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে। তাদের মধ্যে ১৯ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। তবে পথিমধ্যে একজনের মৃত্যু হয়। এছাড়া আরও তিনজন নিরাপত্তার কারণে স্বেচ্ছায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চলে যায়।
এ ঘটনার সময় ক্ষুব্ধ জনতা পুলিশের দুটি গাড়ি এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়ি ভাঙচুর করে। ফলে এলাকায় পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় শৃঙ্খলা রক্ষায় অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে ঘটনার পর থেকেই এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। সাধারণ মানুষ আতঙ্কের মধ্যে থাকলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে।