পাকিস্তানি কনে ফাইজা প্রেমের টানে ঘর বাঁধলেন বাংলাদেশে

দেশ, ভাষা ও সংস্কৃতির পার্থক্যকে পেছনে ফেলে নওগাঁর আত্রাইয়ে মিলন হলো এক ভালোবাসার গল্পের। পাকিস্তানি তরুণী ফাইজাআমজাদ প্রেমের টানে সীমান্ত পেরিয়ে এসে বিয়ে করলেন নওগাঁর আত্রাই উপজেলার বহলা গ্রামের রবিউল ইসলামকে। এই ভিনদেশি নববধূকে দেখতে এখন প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। তাদের উপস্থিতি ও আলোচনা যেন পুরো এলাকায় এক অভিনব আনন্দের পরিবেশ তৈরি করেছে।

পরিবারের দেখাশুনোর তাগিদে রবিউল কয়েক বছর আগে রাশিয়ায় যান। অন্যদিকে উচ্চশিক্ষার জন্য রাশিয়ায় পড়াশোনা করছিলেন ফাইজা। সেখানেই পরিচয়, বন্ধুত্ব এবং ধীরে ধীরে ভালোবাসা। প্রাথমিকভাবে পরিবার কিছুটা দ্বিধায় থাকলেও পরে দুই পক্ষের সম্মতিতে গত ২২ আগস্ট পাকিস্তানে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। এরপর রবিউল তার স্ত্রীকে নিয়ে বাংলাদেশে ফিরে আসেন।

বাংলাদেশে এসে পরিবারের সদস্য ও গ্রামবাসীর ভালোবাসা পেয়ে আবেগাপ্লুত ফাইজাআমজাদ বলেন, “রবিউলের পরিবারের সবাই আমাকে মেয়ের মতো গ্রহণ করেছেন। এলাকার মানুষও খুব ভালো ব্যবহার করছেন। মনে হচ্ছে আমি নিজের দেশেই আছি।” তিনি আরও জানান, এখানে স্থায়ীভাবে থাকতে চান এবং চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করতে চান।

রবিউলের মা বলেন, “বউ আমাদের খুব ভালো লেগেছে। মিশুকে স্বভাবের, সবাইকে সাহায্য করে। তাকে দেখতে অনেক মানুষ আসছে। সবাই খুব প্রশংসা করছে।”

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম মামুনুর রশিদ বলেন, “এটি একটি সুন্দর ভালোবাসার সম্পর্ক। দু’জনের পারস্পরিক সম্মতিতে বিয়ে হয়েছে। আমরা তাদের জন্য শুভকামনা রাখি।”

এই বিবাহ শুধু দুইজন মানুষের নয়, বরং দুই সংস্কৃতির সুন্দর মেলবন্ধনের এক বাস্তব উদাহরণ হয়ে উঠেছে।