প্রকাশ: ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭:৫৪
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) তাদের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জয়পুরহাটে বর্ণাঢ্য র্যালি ও শোভাযাত্রার আয়োজন করেছে। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে শহরের দলীয় কার্যালয়ের সামনে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু হয়। সমাবেশে বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী বিভাগ) এ এইচ এম ওবায়দুর রহমান চন্দন ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফয়সল আলিম বক্তব্য রাখেন।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলজার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ রানা প্রধান এবং আব্দুল ওয়াহাবসহ অন্যান্য নেতা সমাবেশে উপস্থিত থেকে দলের ইতিহাস ও প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তারা বলেন, বিএনপি দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। বর্তমান সময়ে দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনগণকে সক্রিয় করার মাধ্যমে গণআন্দোলন জোরদারের আহ্বান জানানো হয়।
সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা দলের লক্ষ্য, নীতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে মতবিনিময় করেন। তারা সকল স্তরের নেতাকর্মীদের একত্রিত থাকার মাধ্যমে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন। দলের উদ্দেশ্য হলো জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষা ও দেশের রাজনৈতিক সুসংগঠিত পরিবেশ নিশ্চিত করা।
সমাবেশ শেষে জেলা বিএনপি’র উদ্যোগে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে এবং পথে বিভিন্ন ব্যানার, প্লাকার্ড ও দলীয় পতাকা বহন করা হয়। র্যালিতে জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ব্যাপক উপস্থিতি নিশ্চিত করেন।
র্যালি চলাকালীন পথচারী ও সাধারণ জনগণও এতে অংশ নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি করেন। র্যালি শেষে শহরের গুরুত্বপূর্ণ চত্বরে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেওয়া হয় এবং দলের কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে সবার মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হয়।
স্থানীয় নেতারা জানান, এই ধরনের উদ্যোগ দলের শক্তি ও ঐক্য দৃঢ় করার পাশাপাশি সাধারণ জনগণকে রাজনৈতিক কার্যক্রমের সঙ্গে সংযুক্ত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। জয়পুরহাটের জনগণও উৎসাহ ও সমর্থন প্রদর্শন করেছেন।
দলের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ে আরও সংগঠিতভাবে কর্মসূচি পরিচালনা করা হবে। জনসাধারণকে সচেতন করে গণতন্ত্রের প্রতি সমর্থন বাড়ানোই দলের মূল লক্ষ্য।
এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের মাধ্যমে জেলা বিএনপি তাদের ঐক্য, শক্তি এবং জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা প্রদর্শন করেছে। জেলার রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবেশে এটি একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
মূলত, অনুষ্ঠানটি দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ সৃষ্টি এবং রাজনৈতিক কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণের একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করেছে।