প্রকাশ: ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭:৭
নোয়াখালীর মাইজদী শহরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে হামলা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি ভাঙচুর এবং প্রধান সড়ক অবরোধের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নোয়াখালী জিলা স্কুলের সামনে এই ঘটনা ঘটে, তবে পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল ১১টায় সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফাহিম হাসান খান নেতৃত্বে জেলা শহরের সড়কের দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানের সময় সড়কের পাশে অবৈধভাবে রাখা বিভিন্ন যানবাহন ডাম্পিং করা হয়, যা কিছু গাড়ি মালিক ও চালকের ক্ষোভের সৃষ্টি করে।
ক্ষুব্ধ যানবাহন মালিকরা মাইজদী প্রধান সড়ক অবরোধ করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়িতে হামলা চালান এবং ভাঙচুর করেন। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুপুর একটার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নোয়াখালীতে বাস, প্রাইভেটকার এবং মাইক্রো চালকদের জন্য সরকারিভাবে নির্দিষ্ট স্ট্যান্ডের ব্যবস্থা রয়েছে। নোয়াখালী নতুন বাসস্ট্যান্ডের একটি অংশ প্রাইভেটকার ও মাইক্রোচালকদের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে তারা সেখানে গাড়ি রাখার পরিবর্তে প্রধান সড়কে এলোমেলোভাবে গাড়ি রেখে যানজট সৃষ্টি করেছেন।
প্রশাসন বহুবার তাদেরকে সতর্ক করলেও তারা উপেক্ষা করেছেন। এই কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে যাতে যানজট এবং আইন অমান্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।
জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ সংবাদ মাধ্যমে জানান, খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনে। তিনি বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে এবং দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঘটনাটি নগরবাসীর জন্য আশঙ্কাজনক হলেও প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপের ফলে পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রশাসন ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি প্রতিরোধের জন্য আরও তৎপর হবে বলে জানিয়েছে।
এই ঘটনার মাধ্যমে দেখা গেছে, সড়ক নিরাপত্তা ও যান চলাচলের নিয়ম সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা কতটা জরুরি। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ ধরনের অরাজকতা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এবং জনসাধারণকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছে।