সাবেক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লালসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা ও মানহানি মামলা

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে খাগড়াছড়ি আমলী আদালতের বিচারক তারেক আজিজ রায়হানের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন সাংবাদিক প্রফুল্ল। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে খাগড়াছড়ি সদর থানার অফিসার ইনচার্জকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। বাদীপক্ষের পক্ষে মামলা পরিচালনা করছেন সুপ্রিম কোর্ট ও জেলা ও দায়রা জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. আফছার হোসেন রনি।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট খাগড়াছড়ি শহরে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সংবাদ সংগ্রহের সময় সাবেক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায়। এই হামলায় প্রফুল্ল মারাত্মক আহত হন। পাশাপাশি আরও কয়েকজন সাংবাদিক আহত হন।

পরদিন (৫ আগস্ট) সরকারি পতনের পর স্থানীয়ভাবে প্রকাশিত সংবাদ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রফুল্ল বিভিন্ন দুর্নীতি, অনিয়ম ও সন্ত্রাস সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। এর জের ধরে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা ও তাঁর সহযোগীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর ও মানহানিকর পোস্ট শুরু করেন। এতে প্রফুল্লসহ জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভুঁইয়া ও প্রেসক্লাবের সভাপতি তরুণ কুমার ভট্টাচার্যকেও হেয় করার চেষ্টা করা হয়।

মামলায় উল্লেখিত সাতজন আসামি হলেন— সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক চন্দন কুমার দে, মাইন উদ্দিন ভুটো, নুরুল ইসলাম, এম এফ রাব্বি, মোহাম্মদ মেহেদীন হাসান, রহিম মিয়া নাঈম ওরফে আরেফিন নাঈম।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রনি বলেন, “আদালত মামলাটি গ্রহণ করেছেন এবং তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আমরা আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ চাই।”

মামলার বিষয়টি স্থানীয় রাজনৈতিক মহলেও আলোচনার জন্ম দিয়েছে।