কাউখালীতে চিকিৎসক সংকটে জনদুর্ভোগ, আশ্বাস দিলেন সিভিল সার্জন

সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৩৫০ জন রোগী এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসছেন চিকিৎসা নিতে। কিন্তু পর্যাপ্ত চিকিৎসক না থাকায় অনেক সময় একজন চিকিৎসককেই আউটডোর, ইনডোর, জরুরি বিভাগ এবং নাইট ডিউটির কাজ সামলাতে হচ্ছে। এমন অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে চিকিৎসা সেবা কার্যত ভেঙে পড়েছে।

উপজেলা আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সুব্রত কর্মকার জানান, প্রতিদিন সকাল থেকে রাত অবধি একাই রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে হচ্ছে। আউটডোরে রোগী দেখার পাশাপাশি জরুরি বিভাগ এবং নাইট ডিউটি করতে হচ্ছে তাঁকেই। এ পরিস্থিতি তার জন্য মানসিক ও শারীরিকভাবে মারাত্মক চাপের। তিনি বলেন, “এভাবে টানা কাজ করতে করতে আমিই রোগী হয়ে যাচ্ছি।”

এদিকে রোগীদের অভিযোগ, হাসপাতালে ডাক্তার পাওয়া যায় না। ভর্তি রোগী নাসির উদ্দিন বলেন, “আমরা এখানে ভর্তি হয়েছি, কিন্তু দিনে একবার ডাক্তার আসেন। রাতে ডাক্তার পাওয়া যায় না। শুধু নার্সরাই খোঁজ নেন।”

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইশতিয়াক আহমেদ জানান, প্রশাসনিক ব্যস্ততার মধ্যেও তিনি চেষ্টা করেন রোগীদের সেবা দিতে। তবে পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় সেবা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি বিষয়টি বারবার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।

পিরোজপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. মতিউর রহমান বলেন, কাউখালীতে চিকিৎসক সংকটের কথা তাঁর জানা আছে। খুব শিগগিরই সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।