প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২৫, ১৮:১৯
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হওয়ায় গত কয়েক দিনে বাজারে সাময়িক স্বস্তি তৈরি হয়। তবে ১৯ আগস্ট থেকে হঠাৎ নতুন আমদানির অনুমতিপত্র (আইপি) বন্ধ হওয়ায় আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়েছেন। এতে সরবরাহ কমে যাওয়ায় পাইকারি ও খুচরা বাজারে দাম দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ এখন ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, আগে যেখানে দাম ৪৫ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে ছিল। নাসিক জাতের দামও ৬৫ টাকায় পৌঁছেছে। দেশি পেঁয়াজের কেজিপ্রতি দাম ৬৫ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে মানভেদে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে।
হিলি স্থলবন্দর ও আশপাশের বাজার ঘুরে দেখা যায়, মাত্র কয়েকটি ট্রাক পেঁয়াজ নিয়ে প্রবেশ করছে। এই পরিমাণ দেশের চাহিদা পূরণে যথেষ্ট নয়। পাইকারি ব্যবসায়ী শাকিল জানান, নতুন আইপি বন্ধ হওয়ার পর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ক্রেতারা ভোগান্তিতে পড়েছেন। একই সঙ্গে ব্যবসায়ীরাও বাজারে অস্থিরতার কারণে সমস্যায় আছেন।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক নুর ইসলাম বলেন, সীমিত কয়েকটি ট্রাক আসছে ঠিকই, তবে তা দিয়ে দেশের চাহিদা পূরণ সম্ভব নয়। তাই বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে এবং দাম বাড়ছে। তিনি আরও জানান, বাজারে প্রয়োজনীয় সরবরাহ নিশ্চিত করতে আইপি পুনরায় চালু করা উচিত।
হিলি কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত ভারত থেকে ৭০টি ট্রাকে প্রায় ২ হাজার ৮৭ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। তবে এটি বাজারের চাহিদার তুলনায় খুব কম। ফলে দাম স্বাভাবিক করার জন্য আরও বেশি আমদানির প্রয়োজন।
উপজেলার ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকারি নীতি অনুযায়ী আমদানির অনুমতি যেন নিয়মিতভাবে জারি হয়, তা না হলে বাজারে অস্থিরতা চলতে থাকবে। তারা আশা করছেন, প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।
স্থানীয় ক্রেতারা জানিয়েছেন, পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির ফলে বাজারে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা প্রভাবিত হচ্ছে। অনেকেই পেঁয়াজ কম খাওয়ার চেষ্টা করছেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভারতের পেঁয়াজ আমদানি সীমিত হওয়ায় হিলি বন্দরে সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে এবং এ সমস্যার দ্রুত সমাধান না হলে দেশের বিভিন্ন বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।
স্থানীয় প্রশাসন ও বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যবসায়ীরা আরও বেশি পেঁয়াজ আমদানির জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। তারা আশা করছেন, বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত হলে ক্রেতা ও ব্যবসায়ী উভয়ই স্বস্তি পাবে।