প্রকাশ: ২২ আগস্ট ২০২৫, ১৬:৪৬
কুমিল্লা নগরীতে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মু. তাহের বলেছেন, নির্বাচনের আগে যথাযথ সংস্কার না হলে জনগণের মধ্যে সংশয় তৈরি হবে এবং নির্বাচন তাদের আকাঙ্খা পূরণ করতে সক্ষম হবে না। তিনি শুক্রবার ঢুলিপাড়া এলাকার একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত নির্বাচনী দায়িত্বশীল সমাবেশে এই মন্তব্য করেন।
ডা. তাহের বলেন, আমরা চাই একটি অংশগ্রহণমূলক, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন, যা উৎসবমুখর হবে এবং স্বৈরাচার ছাড়া সকল বৈধ দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবে। তিনি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব তুলে ধরেন, যাতে সকল দলের জন্য সমান সুযোগ তৈরি হয়।
বিএনপির প্রতি বার্তা দিয়ে তিনি উল্লেখ করেন, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সময় পার্লামেন্ট না থাকলেও যে ভোটের প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছিল, এবারের নির্বাচনের ক্ষেত্রে সেটি মেনে চলার আহ্বান জানানো উচিত। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ইতিমধ্যে যে সমস্ত সংস্কারে জামায়াত একমত হয়েছে, তা ভিত্তি করে নির্বাচন হবে।
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডা. তাহের বলেন, নির্বাচন যথা সময়ে অনুষ্ঠিত হবে। তবে নির্বাচনের জন্য কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, যা সরকার যদি সুষ্ঠুভাবে সমাধান করে, তাহলে নির্বাচনের পথে আর কোন বাধা থাকবে না। তিনি আশ্বাস দেন, নির্বাচন না হলে দেশ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।
পিআর পদ্ধতির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, তাদের পিআর মেনে চলার নৈতিক দায়বদ্ধতা রয়েছে। ইতিমধ্যেই যে সার্ভে হয়েছে, সেখানে ৭১ শতাংশ মানুষ পিআর চাচ্ছে। পিআর পদ্ধতি হলে নির্বাচন স্বচ্ছ হবে এবং স্বৈরাচারের সুযোগ থাকবে না। ৫৪ বছরের প্রথাগত পদ্ধতিতে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না, কিন্তু পিআর প্রয়োগ করলে স্বচ্ছ ও ন্যায্য নির্বাচন সম্ভব।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা মহানগরী জামায়াতের আমীর ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য কাজী দ্বীন মোহাম্মদ। এতে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, মহানগরী জামায়াতের নায়েবে আমীর একেএম এমদাদুল হক মামুন, সেক্রেটারি মাহবুবুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারী কামরুজ্জামান সোহেল, মোশাররফ হোসেন ও নাছির আহমেদ মোল্লা প্রমুখ।
ডা. তাহের নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার জন্য সকল রাজনৈতিক দলের সহযোগিতার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য নির্দিষ্ট সংস্কার বাস্তবায়ন হলে জনগণের আস্থা বৃদ্ধি পাবে এবং দেশ শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল পরিবেশে নির্বাচন উপভোগ করতে পারবে।