পুলিশের উপস্থিতিতে অবৈধ বালুর গাড়ি ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

ইউএনওর নির্দেশে ওসি থানার সাব-ইন্সপেক্টর দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে প্রেরণ করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছার পর বালু খেকোদের একটি চক্র গাড়ি আটকের জের ধরে বিজিবি সদস্যদের সাথে বাকবিতÐায় জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বালু সিন্ডিকেট চক্রের শামীমসহ কয়েকজন সদস্য ‘মব’ সৃষ্টি কওে বালু খেকোরা পুলিশ-বিজিবির উপস্থিতিতে বালুর গাড়ি ছিনিয়ে  নেয়। এঘটনায় পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার বেলা ৪টা পর্যন্ত পুলিশ বা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কারো বিরুদ্ধে  কোনো মামলা হয়নি, এমনকি ছিনিয়ে নেওয়া বালবাহী গাড়িও থানায় নিয়ে আসা হয়নি।  উপজেলা এবং থানা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে এ ঘটনা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। 

স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ এবং স্থানীয় মেম্বার শাহিন এর যোগসাজসে এবং সখ্যতার কারইে এলাকার কুতুব, শামসু, শামীম, ওয়াসিম, ফারুক, সুজন, আতাবুর, হরমুজ আলীসহ বালু সিন্ডিকেট চক্রের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধওে  অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে প্রকৃতি ও পরিবেশ-প্রতিবেশ নষ্ট করছেন। তবে ঘটনাস্থলে যাওয়া পুলিশের এসআই দেলোয়ার বলেন, গাড়ি থানায় নিয়ে আসার চেষ্টা করেছিলাম, প্রথমে গাড়ির ড্রাইভার পাইনি। এরপর অন্য ড্রাইভারকে চেষ্টা করলে ব্যর্থ হই। স্থানীয়রা বিজিবির সদস্যদের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে ‘মব’ এর মতো বিশৃ্খংলা সৃষ্টি করেন। উত্তপ্ত পরিস্থিতি দেখে আমরা ওসি স্যারের সাথে যোগাযোগ করে চলে আসি। এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত কর আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। পুলিশের সাথে বালু ব্যবসায়ীদের সখ্যতা তিনি আস্বীকার করে বলেন, ঘটনার শুরু এবং শেষেও আমরা স্থানীয় মেম্বার শাহিনের সাথে কথা বলেছি এটা সত্য। কিন্তু অন্য কোনো সখ্যাতা নেই।  

এ বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে শ্রীমঙ্গল থানার ওসি আমিনুল ইসলামকে কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। সহকারী পুলিশ সুপার (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সার্কেল) মো. ওয়াহিদুজ্জামান রাজু বলেন, পুলিশ জানিয়েছে প্রতিকূলতার কারণে গাড়ি থানায় নিয়ে আসা সম্ভব হয়নি। পরিস্থিতি কেন কন্ট্রল করা গেলো না, এটি ‘মব’ নাকি অন্য কিছু এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। কারা জড়িত, কেন এমন ঘটনার সৃষ্টি হল এ বিষয়ে তন্তের পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশের যোগসাজসে বালু উত্তোলনের অভিযোগটি ি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে তিনি জানান, অভিযোগ উঠলেই সব অভিযোগ সত্য হয় না।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইসলাম উদ্দিন জানান, অবৈধ বালু বন্ধে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। বালুবাহী গাড়ি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় পুলিশ কর্তৃক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয় চলছে। এছাড়া অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরি করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।