প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৫, ২১:৩৯
রাজবাড়ী ও মানিকগঞ্জের নৌপথে পদ্মা নদীর তীব্র স্রোতের কারণে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ তিনটি ঘাটের মধ্যে কেবল একটি ঘাটই সচল রয়েছে। অন্য দুটি ঘাট বন্ধ থাকায় যানবাহন পারাপারে বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সন্ধ্যা রাত ৯ টার দিকে বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
ঘাট এলাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। জিরো পয়েন্ট থেকে দৌলতদিয়া ক্যানাল ঘাট পর্যন্ত প্রায় দুই শতাধিক যানবাহন নদী পারের অপেক্ষায় রয়েছে। এ পরিস্থিতি স্থানীয় যাত্রী এবং যানবাহন মালিকদের মধ্যে অসন্তোষ ও দুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের সহকারী মহাব্যবস্থাপক জানান, তীব্র স্রোতের কারণে দৌলতদিয়ার ৩ ও ৪ নম্বর ঘাটে ফেরি ভিড়তে পারছে না। বর্তমানে শুধু ৭ নম্বর ঘাট ব্যবহার করে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। এতে নৌপথে পারাপারের সময় অনেক বেশি লাগছে এবং যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
নৌপরিবহন ব্যবস্থার এই ব্যাহত পরিস্থিতি ব্যবসায়ী ও যাত্রীদের জন্য বড় ধরনের ঝুঁকি সৃষ্টি করছে। অনেক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে, যা তাদের দৈনন্দিন কর্ম এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নদীর এই অবস্থা বেশ কিছু দিন স্থায়ী হতে পারে। তাই নিরাপদভাবে ফেরি চলাচল নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত সতর্কতা ও পর্যবেক্ষণ জোরদার করা হচ্ছে। এছাড়া বিকল্প ঘাট ও নৌপথ ব্যবহারের বিষয়ে প্রশাসন পর্যায়ক্রমে নির্দেশনা প্রদান করছে।
এছাড়াও, নিরাপদে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার নিশ্চিত করতে ফেরি সংস্থাগুলোকে নির্দিষ্ট সময়ে সচল ঘাট ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। নদীর পানি বৃদ্ধি এবং স্রোতের তীব্রতার কারণে পারাপারে ঝুঁকি কমানোর জন্য কন্ট্রোল টাওয়ার এবং ঘাটের কর্মীদের তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন ও নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের এই উদ্যোগ মূলত যাত্রী ও ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং নৌপথে যাতায়াতের সময়নাশ কমানোর জন্য নেওয়া হয়েছে। তবে নদীর প্রকৃতিক অবস্থা যেহেতু পরিবর্তনশীল, তাই ফেরি চলাচলে সাময়িক ব্যাঘাত চলতেই পারে।
পরবর্তী কয়েকদিন নদীর পানি বৃদ্ধি ও স্রোতের তীব্রতা পর্যবেক্ষণ করা হবে। যাত্রী এবং যানবাহন মালিকদের নিরাপদভাবে ফেরি ব্যবহার নিশ্চিত করতে নিয়মিত তথ্য প্রচার করা হবে এবং সকলকে সচেতন করার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।